লাল্টু : পথদুর্ঘটনায় ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬ সালের ৮ই জুলাই রাজ্যজুড়ে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। আর এই প্রকল্পের সুদূরপ্রসারী কতটা তা লক্ষ্য করা গিয়েছে মাত্র চার বছরে ২০২০ সালে। পরিসংখ্যানের বিচারে চলতি বছর পথ দুর্ঘটনা এবং দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা কমেছে কয়েক শতাংশ।
আর এই ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ প্রকল্পকেই রবিবার অবজ্ঞা করতে দেখা গেল তৃণমূলের বিধায়ক নরেশ চন্দ্র বাউড়িকে। রবিবার দুবরাজপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে একটি বাইক র্যালি বের করা হয়। যে বাইক র্যালিতে বিনা হেলমেটে দেখা যায় বেশিরভাগ তৃণমূল কর্মী এবং স্বয়ং বিধায়ক নরেশচন্দ্র বাউড়িকে বাইক চালাতে। যদিও বিধায়ক কেন হেলমেট পড়েনি তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি যুক্তিও দিয়েছেন।
তিনি পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, “আমার ঘাড়ে স্পন্ডিলাইটিসের ব্যথা শুরু হয়েছে, সেজন্য আমি হেলমেট পড়তে পারি নাই। আর বাকিরা তরতাজা বয়সের, সেজন্য বুঝতেই পারছেন। তবে আমি এবং এই যুবকেরা হেলমেট না পরার জন্য আমি নিজে দুঃখ প্রকাশ করছি।”
প্রসঙ্গত, দুরবাজপুর শহর ও ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এদিন উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে দলিত নারীনির্যাতন ওধর্ষণের প্রতিবাদে একটি মোটর বাইক র্যালি বের করে দুবরাজপুর শহরে। এই মোটরবাইক মিছিলে ছিলেন দুবরাজপুরে বিধায়ক নরেশ চন্দ্র বাউড়ি, প্রাক্তন কাউন্সিলর বিপ্লব মাহাতা, দুবরাজপুর শহরের যুব সভাপতি সাগর কুন্ডু, দুবরাজপুর ব্লকের যুব সভাপতি নীলোৎপল মুখার্জি সহ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা।