Advertisements

বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে উদ্ধার যুবতীর অস্বাভাবিক মৃতদেহ

Shyamali Das

Updated on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : ফের বীরভূমে উদ্ধার এক যুবতীর অস্বাভাবিক মৃতদেহ। এবারের ঘটনা পাঁড়ুই থানার অন্তর্গত বাতিকা। এখানকার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকা বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের একটি ঘর থেকে সেখানে কর্মরত এক যুবতীর অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার হয় বুধবার রাতে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।

Advertisements

জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবতীর নাম শ্রাবণী মণ্ডল (২২)। তার বাড়ি ইলামবাজারের ঘুরিষার ক্ষুদ্রপুর গ্রামে। তিনি বাতিকার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বুধবার নির্ধারিত সময়ে বাড়ি না ফেরার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়ির সদস্যরা ওই যুবতী খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কোথাও খোঁজ না পেয়ে বাতিকার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে হাজির হন এবং সেখানে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।

Advertisements

কিভাবে ওই যুবতী মারা গেলেন তা সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা না গেলেও পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, শ্রাবণীকে খুন করা হয়েছে। খুন করার অভিযোগ আনার পাশাপাশি তারা এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন এবং দোষীদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি হিসাবে ফাঁসির দাবি তুলেছেন।

Advertisements

মৃত ওই যুবতীর ভাই গোপাল মন্ডল জানিয়েছেন, “বুধবার সন্ধ্যা বেলা পর্যন্ত দিদি বাড়ি না ফেরায় প্রথমে আমরা ইলামবাজারে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফোন করি। সেখানে জানানো হয় এখানে আসেনি। এর পরেই আমরা চলে আসি বাতিকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে দেখতে জানলা ঠেলা দিয়ে দেখতে পাই দিদির জুতো এলোমেলো অবস্থায় পরে রয়েছে।”

গোপাল মন্ডল আরও জানিয়েছেন, এরপর তিনি তার দিদির এক সহকর্মীর কাছ থেকে চাবি নিয়ে এসে ওই বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের রুম হলেন এবং দেখতে পান সেখানেই মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে তার দিদির দেহ। মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকার পাশাপাশি গলায় ওড়না জড়ানো ছিল বলেও দাবি করেছেন গোপাল মন্ডল।

এমন ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে এবং ওই মৃত দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তবে পরিবারের সদস্যদের প্রশ্ন, কিভাবে দরজা-জানলা বাইরে থেকে তালা বন্ধ অবস্থায় ওই রুমের ভেতরে মৃতদেহ এল।

Advertisements