নিজস্ব প্রতিবেদন : স্মার্টফোন আর 4G-র যুগে যে কোনো ঘটনায় নিমেষে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এই সকল ঘটনার মধ্যে সম্প্রতি তিন থেকে চারটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে এক মা তার দেড় বছরের শিশুকে কখনো বিছানায় শুইয়ে মুখে আঘাতের পর আঘাত করে রক্ত বের করে দিচ্ছেন, কখনো আবার পায়ের পাতায় লাগাতার আঘাত করে চলেছেন, কখনো আবার চপ্পল দিয়ে অমানবিক মার মেরে চলেছেন।
এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনদের মধ্যে ওই মায়ের বিরুদ্ধে যাতে চরম থেকে চরমতম শাস্তি গ্রহণ করা হয় তার জন্য জোর সাওয়াল উঠেছে। আর এই সওয়ালের মধ্যেই স্বস্তির খবর এটাই যে, জানা গিয়েছে ওই নির্মম মা ইতিমধ্যেই পুলিশের কব্জায়। ওই মহিলার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গিয়েছে, ওই নির্মম মা রুটিন অনুযায়ী তার ১৮ মাসের একরাত্রি শিশুকে বিভৎসভাবে মারধর করতেন এবং তা আবার তিনি ভিডিও করতেন। তবে কেন তিনি এই ভাবে নিজের ছেলেকে মেরে ভিডিও করার নেশায় বুঁদ হয়েছিলেন তা জানা যায়নি। কোন এক আত্মীয় হঠাৎ সেই ভিডিও দেখে ওই মহিলার স্বামীকে বিষয়টি জানান এবং তার স্বামী উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলা তুলসির বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তোরে। ২০১৬ সালে তামিলনাড়ুর ভাদিভাজহাগন নামে এক যুবকের সাথে তার বিয়ে হয়। ওই যুবতীর বয়স হলো মাত্র ২২ বছর। তাদের রয়েছে দুই সন্তান। তবে বিয়ের পর থেকেই তাদের দুজনের মধ্যে তেমন বনিবনা ছিল না। দেড় মাস আগে তারা আলাদা হয়ে যান। আলাদা হয়ে যাওয়ার পর ছোট সন্তানকে নিয়ে ওই যুবতী অন্ধ্রপ্রদেশের নিজের বাপের বাড়ি চলে আসেন। আর সেখানেই তিনি এই ভাবে অত্যাচার চালাতেন তার ছেলের উপর।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই খুদে শিশুর বাবা তামিলনাড়ু পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে পরে অভিযোগের ভিত্তিতে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ ওই যুবতীকে গ্রেপ্তার করে। যুবতীর বাবা গোপাল কৃষ্ণন জানিয়েছেন, “ছেলের শরীর খারাপ এমনটা জানিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল মেয়ে। তবে এমন কাজ করতো তা জানা ছিলো না।”