The highest road in the world, higher than the base camp of Everest: লাদাখের চিসুমলে থেকে ডেমচোক পর্যন্ত বিশ্বের সবথেকে উঁচু রাস্তার (World Highest Road) উদ্বোধন করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ভারতের মানুষের কাছে যা সত্যি গর্বের বিষয়। রাস্তাটি প্রায় ১৯ হাজার ফুট বেশি উচ্চতায় নির্মাণ করা হয়েছে। এটি ইতিমধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গাড়ি চলাচল যোগ্য রাস্তা হিসেবে আখ্যা পেয়েছে। বিশ্বের উঁচু চিসুমলে থেকে ডেমচোক যাওয়ার রাস্তাটি প্রায় ৫২ কিলোমিটার বিস্তৃত। রাস্তাটি লাদাখের দুর্গম কয়েকটি অঞ্চলকে একসঙ্গে যুক্ত করেছে।
সড়কটি নির্মাণের আসল কারণ হলো, আগে এই দুর্গম পথগুলি সেনাদের পক্ষে যাওয়া অসম্ভব ছিল। সড়কটি তৈরি হবার পর সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে। ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন পালকের সংযোজন করেছে প্রায় ১৯ হাজার ফুট উঁচুতে তৈরি এই রাস্তাটি (World Highest Road) । পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু রাস্তার আখ্যাও পেয়েছে ইতিমধ্যে। বর্তমানে রাস্তাটির নাম গিনেস বুক অফ ওলার্ল্ডে জায়গা পেয়েছে।
এই সড়কটি (World Highest Road) যে কেবল চিসুমলে ও ডেমচোককে যুক্ত করেছে তা নয় লাদাখের যেসব অন্য অংশ আছে সবই যুক্ত করেছে। ডোমচোক অঞ্চলটির গুরুত্ব এমনিতেই অনেক বেশি কারণ এটি ভারত-চিন সীমান্তের অনেক কাছাকাছি। সেই কারণে সেনাবাহিনীর কাছে এর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রশাসনের দাবি, রাস্তাটি এভারেস্টের বেস ক্যাম্পের থেকেও বেশি উঁচু। এমনকি আশ্চর্যের কথা হল সিয়াচেনের হিমবাহ থেকে বেশি উঁচুতে অবস্থিত। যখন লাদাখে চিনা হামলা হলো তারপর থেকেই প্রতিরক্ষামন্ত্রক এর উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
নজরদারি যদি ভালোভাবে না দেওয়া হয় তাহলে হামলার আগাম খবর পাওয়া যায়না। নজরদারি চালানোর জন্য শুধু অধিক সংখ্যক সেনা মোতায়েন করলেই হবেনা পাশাপাশি সড়ক নির্মাণে জোর দেওয়া হয়। যদি উঁচু সড়ক নির্মাণ করা হয় নজরদারি চালানোর পাশাপাশি সেনা ট্রাক চলাচলেরও সুবিধা হবে। সেইসব কারণের কথা মাথায় রেখেই চিসুমলে থেকে ডেমচোক পর্যন্ত রাস্তাটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেনা যাতায়াতের জন্য এবং পর্যটনের দিকে নজর রেখে তৈরি করা হয়েছে চিসুমলে থেকে ডেমচোক পর্যন্ত বিশ্বের উচ্চতম রাস্তাটি। রাস্তাটি (World Highest Road) তৈরি করার কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত সত্যি সঠিক।
রাস্তাটি আগামী দিনে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্বের উচ্চতম রাস্তাটি অবস্থিত লেহ থেকে প্রায় ২৩০ কিলোমিটার দূরে। রাস্তাটি নির্মাণের সময় বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। মূল সমস্যা হলো ঠাণ্ডা এবং অক্সিজেনের অভাব। তবে বর্তমানে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন নির্মাতাকারীরা এমনকি সেনারাও।