শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : এরোপ্লেন, হেলিকপ্টার তো অনেক হলো এবার বাজারে এলো নতুন গাড়ি। শুনলেই বেশ অবাক হতে হয়। বিশ্বে প্রথম পেট্রোল দ্বারা পরিচালিত উড়ন্ত গাড়ি সামনে এসেছে। গাড়িটির নামকরণ হয়েছে এয়ারকার নামে। এমন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি করা গাড়ির স্রষ্টার সম্পর্কে জানবেন না তা কি হয় নাকি।
বিশ্বের সর্বপ্রথম পেট্রোল দ্বারা চালিত উড়ন্ত গাড়িটি তৈরি করেছেন ক্লেইন ভিসন। এই গাড়ি চতুর্দিকে যেনো সাড়া ফেলে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। পেট্রোল এর দ্বারা পরিচালিত প্রথম উড়ন্ত গাড়ি ক্লেইন ভিসন এর সংস্থাই করে দেখিয়েছে যদিও আরও বহু সংস্থা কাজ করে চলেছেন ভবিষ্যতে এই গাড়ি বাজারে আনার জন্য।
তবে ক্লেইন ভিসনের এই উড়ন্ত গাড়িটি আকাশে ওড়ার ক্ষেত্রে ঠিক কতটা সক্ষম সেই বিষয়ে প্রমাণ দিতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় ইতিমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে গাড়িটি। তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক, গাড়িটিতে কি কি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে।
বাকি সমস্ত উড়ন্ত গাড়ির সাথে প্রতিযোগিতার নিরিখে ক্লেইন ভিসনের গাড়িটি অনেক এগিয়ে রয়েছে। জানা গিয়েছে, আগের বছর গাড়িটি স্লোভাকিয়ান শহর থেকে নিতারা পর্যন্ত প্রায় ৬০ মাইল রাস্তা পুরোটাই আকাশপথে উড়ে সম্পন্ন করেছিল। তবে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরেই সুইচ মোড অন করে চাকার সাহায্যেই শহরের রাস্তায় চলতে শুরু করে।
গাড়িটিকে বারবার বহু পরীক্ষা ও টেস্টিং এর মধ্যে দিয়ে যেতে হলেও প্রতিটি টেস্টিং এর ক্ষেত্রেই সফল ভাবে সক্ষম হয়েছে গাড়িটি। স্লোভাকিয়া অথরিটি গাড়িটির ৭০ ঘণ্টার একটি পরীক্ষা নিয়েছিল, তারপরেই ইউরোপিয়ান অ্যাভিয়েশন সেফটি এজেন্সির তরফে মিলেছিল গাড়ি চালানোর ছাড়পত্র। গাড়িটি বিক্রির জন্য ও বর্তমানে অনুমতি পেয়েছে।
ক্লেইন ভিসনের গাড়িটি কেবলমাত্র ধনী ব্যক্তিদের জন্য এমন কোনো ভাবার দরকার নেই কারণ এই গাড়ির ডুয়েল মোবিলিটি কারেক্টর অত্যধিক ভিড় রাস্তায় চালককে সাহায্য করবে। এই গাড়ির গতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৭০ কিমি, ৮,২০০ ফুট উচ্চতায় এরিয়াল ডিসটেন্স কাভার করার ক্ষমতা রাখে গাড়িটি। এছাড়াও ফিক্সড প্রপেলার, ব্যালিস্টিক প্যারাশুটের ব্যবস্থাও রয়েছে।