মাত্র ১২ দিনে বিশ্বের সবথেকে বড় কোভিড হাসপাতাল করে দেখালো ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদন : ১০,০০০ শয্যাবিশিষ্ট কোভিড হাসপাতাল। এই ১০,০০০ শয্যার মধ্যেই রয়েছে ২৫০টি ICU। পাশাপাশি ১০০০ শয্যায় রয়েছে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা। প্রাথমিকভাবে মৃদু উপসর্গযুক্ত এবং উপসর্গহীন করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হবে এই হাসপাতাল। হাসপাতালে এক একটি জায়গায় রয়েছে ৫০টি করে শয্যা অর্থাৎ ২০০টি এমন ঘর তৈরি করা হয়েছে এই ১০,০০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরি করতে। আর বিশ্বের এই সব থেকে বড় কোভিড হাসপাতাল তৈরি করেছে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গবেষণার সরকারি সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)।

DRDO এই হাসপাতাল তৈরি করেছে মাত্র ১২ দিনে। আর এই হাসপাতালটি তৈরি হয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লিতে। দক্ষিণ দিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছেই একটি বিশাল জমি ছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে। সেই জমিতে অস্থায়ীভাবে এই হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। হাসপাতালটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সর্দার পটেল কোভিড কেয়ার সেন্টার অ্যান্ড হসপিটাল’। হাসপাতালটি তৈরি করার জন্য প্রযুক্তি থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু দেশীয়। এই হাসপাতালে সমস্ত পরিকল্পনায় হলো DRDO-র। এই হাসপাতলে চিকিৎসার জন্য রোগীকে কোন রকম খরচ বহন করতে হবে না। সম্পূর্ণটাই হবে বিনামূল্যে। আর এই হাসপাতালে সেনাবাহিনীর জাওয়ানরা রাতদিন পরিষেবা দেবেন।

হাসপাতালটির সম্পূর্ণ দায়িত্বে থাকবে সেনাবাহিনী। প্রাথমিকভাবে প্রথম মাসে এই হাসপাতলে প্যারামেডিক্যাল স্টাফ মিলিয়ে মোট ৬০০ জনকে মোতায়েন করা হয়েছে। আর এই সংখ্যাটা আগামীদিনে রোগীর সংখ্যার হিসাবে পরিবর্তন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

১২ দিনে এই হাসপাতালটি তৈরি করার কারিগর হিসেবে রয়েছে DRDO ছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, টাটা সন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং অন্যান্য অনেকের সাহায্য। এই হাসপাতালে আরও একটি বিশেষত্ব হলো এই হাসপাতালে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করবেন মনোবিদরাও। বর্তমানে হাসপাতালটি যে এলাকা জুড়ে রয়েছে সেই এলাকার হিসাব করলে অন্ততপক্ষে ২০টি স্টেডিয়ামের সমান হবে এই হাসপাতাল।

রবিবার এই হাসপাতালটি পরিদর্শন করে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, “রাজনাথ সিংহের সাথে আজ সর্দার পটেল কোভিড হাসপাতাল পরিদর্শন করলাম। ১২দিনে হাসপাতাল তৈরি করে রেকর্ড করেছে DRDO, টাটা সন্স, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে।”