যে দেশে গৌতম আদানি ও মুকেশ আম্বানির মতো ধনী ও বিত্তশালী শিল্পপতিরা রয়েছে সেই দেশের শহরগুলোর স্থান কেন এত নিচে? শত উন্নতি সত্ত্বেও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিকে টেক্কা দিয়ে দিয়েছে প্রথম বিশ্ব। মার্কিন নগরী নিউইয়র্ক (New York) খুব সহজেই কেড়ে নিয়েছে বিশ্বের ধনী শহরের (World’s Richest City) তকমা। অর্থ বিষয়ক সংস্থা হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স (Henley & Partners) সম্প্রতি একটি সমীক্ষার দ্বারা একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে যে, নিউ ইয়র্কে কোটিপতি ধনীর সংখ্যা অনেক বেশি।
একটি শহরে কোটিপতির সংখ্যা অনুযায়ী সেই শহরটি ধনীতম (World’s Richest City) শহরের তকমা পেয়ে থাকে।হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স যে সমীক্ষা প্রকাশ করেছিল সেটা অনুসারে, নিউইয়র্ক শহরে মিলিওনিয়ারের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার। তার জন্য এটি পৃথিবীর সবথেকে ধনীতম শহর।এছাড়াও তালিকাতে আছে বহু ধনী শহরের নাম।
এই তালিকাটিতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে রয়েছে জাপানের টোকিও (Tokyo) শহর। আমেরিকার আরেকটি শহর সানফ্রান্সিসকো (Sanfransisco) দখল করে আছে তৃতীয় স্থান। এখানে কোটিপতিদের সংখ্যা হলযথাক্রমে ২,৯০,৩০০ এবং ২,৮৫,০০০। ইংল্যান্ডের লন্ডন (London) শহর ধনীতম শহরের তালিকায় চতুর্থ স্থান পেয়েছে। ২০০০ সালে বিশ্বের ধনীতম শহরের (World’s Richest City) তালিকার শীর্ষে নাম ছিল ইংল্যান্ডের এই শহরটির। বিগত কুড়ি বছরের অর্থনৈতিক উত্থানপতনে পিছিয়েছে শহরটি। এছাড়াও পঞ্চম স্থানে সিঙ্গাপুর (Singapore) এশিয়ার মুখকে উজ্জ্বল করে রেখেছে।
বর্তমানে ভারত অনেক দ্রুত গতিতে উন্নতি করলেও ধনীতম শহরের তালিকাতে অনেক পিছিয়ে ভারতের শহরগুলো। তালিকা তে প্রথম কুড়ির মধ্যে স্থান নেই ভারতের কোনো শহরের। বাণিজ্যনগরী মুম্বাইয়ের স্থান হয়েছে ২১ নম্বরে। ভারতের আরও দুটো গুরুত্বপূর্ণ শহর বেঙ্গালুরু ও দিল্লির স্থান অনেক নিচে।
বিশ্বের ধনীতম শহরের তালিকায় বেশিরভাগই রয়েছে আমেরিকার বিভিন্ন শহরের নাম।আমেরিকার নিউইয়র্ক এবং সানফ্রান্সিসকো ছাড়াও দ্য বে এরিয়া, লস অ্যাঞ্জেলস এবং শিকাগো শহর রয়েছে এই তালিকাতে। এছাড়া, হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের প্রকাশিত তালিকায় চিনের দু’টি শহরের নাম রয়েছে- বেজিং ও সাংহাই। সারা বিশ্বের মোট ৯৭টি ধনী শহর নিয়ে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল।