Elon Musk’s Xmail is coming to the market to compete with Google’s Gmail: মেইল বলতে মানুষ জিমেইলকেই বেশি প্রেফার করে থাকে। ল্যাপটপ হোক বা কম্পিউটার, মোবাইল হোক বা ট্যাব সবেতেই জিমেইলের উপস্থিতি রয়েছে। তবে এবার গুগলের জিমেইল পরিষেবাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে মার্কেটে লঞ্চ করেছে এক্স মেইল (Gmail vs Xmail)। এটি মূলত এক্সের একটি মেইল পরিষেবা। এক্স (পূর্বতন টুইটার) অধিগ্রহণের পর থেকেই একে নিয়ে নানা রকম বিজনেস স্ট্রাটেজি সাজাচ্ছেন এলন মাস্ক। এক্স প্লাটফর্ম থেকে মেইল পরিষেবা চালু করাটিও সেই বিজনেস স্ট্রাটেজিরই একটি অংশ।
এলেন মাস্ক টুইটার কেনার পর তার নাম রাখেন এক্স এবং সেখান থেকেই প্রভাবিত হয়ে এই নতুন মেইল পরিষেবা টির নাম রাখা হয়েছে এক্স মেইল। তিনি জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই এই পরিষেবাটিকে চালু করা হবে। বিষয়টি নিয়ে তিনি বিশদে কিছু না বলললেও, এটিকে তিনি গুগলের জিমেলের একটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রডাক্ট হিসাবে বাজারে আনতে চলেছেন সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
এলেন মাস্ক এর ঘোষণার পর ইতিমধ্যে তাকে নিয়ে বেশ কিছু কন্ট্রোভার্সি শুরু হয়েছে। কিছু মানুষের মতে জিমেইলের থেকে অনেক বেশি সুরক্ষিত এক্স মেইল। ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে এক্স মেল অনেক বেশি কার্যকরী হবে। এছাড়াও, জিমেইলের থেকে দ্রুত ও সহজ উপায় ব্যবহারযোগ্য হবে এই নতুন মেইল পরিষেবাটি। যদিও এ ব্যাপারে প্যারেন্টাল সংস্থা এক্সের তরফ থেকে এখনো তেমন কিছু জানানো হয়নি।
বর্তমানে টুইটার তথা এক্সের প্লাটফর্মে বিভিন্ন ফিচারস আনার চেষ্টা চলছে। যেমন আগে প্রিমিয়াম ইউজারদের জন্য ভিডিও অডিও কল করার ব্যবস্থা ছিল, বর্তমানে সেটি ফ্রিতে সর্বসাধারণের উদ্দেশ্যে চালু করা হয়ছে। এ ছাড়াও আশা করা যায় আরো নতুন কিছু ফিচার্স আমরা দেখতে পাবো।
Google এইচটিএমএল ভিউ ফিচারটিকে বন্ধ করে তার বদলে স্ট্যান্ডার্ড ভিউ নামক একটি ফিচার এনেছে। এই তথ্যের উপর নির্ভর করে এক্স এর প্ল্যাটফর্মে প্রচার করা হয় যে জিমেইল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যদিও google এই তথ্যকে সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছে। তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, জিমেইল বন্ধ করা হচ্ছে না। আশা করা যায় চলতি বছরেই এক্সমেইল পরিষেবা চালু করা হবে। এখন দেখার বিষয় হল এক্স মেইল সত্যি জিমেলকে টেক্কা (Gmail vs Xmail) দিতে পার কিনা। এখন সবই শুধু সময়ের অপেক্ষা।