আইএএস অফিসার থেকে রাজনীতিক, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহার অজানা তথ্য

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের রাজনীতিতে অন্যতম এক উজ্জ্বল নাম হল যশবন্ত সিনহা। তিনি ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ি আমলের একজন মন্ত্রী। যদিও পরে দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলে বিজেপি ছাড়েন এবং তৃণমূলে যোগ দেন। এই যশবন্ত সিনহা এবার বিরোধী দলগুলির রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসাবে রাইসিনা হিল দখলের লড়াইয়ে নামতে চলেছেন। তবে জানেন কি দীর্ঘ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা এই যশবন্ত সিনহার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল একজন আইএএস অফিসার হিসাবে।

Advertisements

যশবন্ত সিনহা পাটনায় ১৯৩৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেখানেই তাঁর বড় হয়ে ওঠা এবং পড়াশোনা। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের স্নাতকোত্তর করার পর তিনি পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছুদিন অধ্যাপকের ভূমিকাও পালন করেন। এরপর আইএএস অফিসার থেকে ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি সচিব পর্যায়ে পৌঁছে দীর্ঘ ২৪ বছর দেশ সেবায় নিযুক্ত থাকেন।

Advertisements

১৯৭১ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত তিনি জার্মানির বনে প্রথম সচিব (কমার্সিয়াল) হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। পরে আবার দীর্ঘ বছর ধরে তিনি ভারতের সার্ফেস ট্রান্সপোর্ট বিভাগে যুগ্মসচিব ছিলেন। তবে ১৯৮৪ সালে আইএএস অফিসার থেকে পদত্যাগ দিয়ে পা রাখেন রাজনীতিতে। জনতা দলে যোগ দেওয়ার পর ১৯৮৮ সালে তিনি রাজ্যসভার সদস্য হন।

Advertisements

১৯৯৬ সালে যশবন্ত সিনহা বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র হন। অন্যদিকে অভিজ্ঞ এই রাজনীতিক ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিহারের হাজারীবাগ কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করে সাংসদ হন। পাশাপাশি এই সময়কালে তিনি দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিত্ব পদ সামলেছেন। ১৯৯৮ সালে তিনি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন এবং ২০০২ সালে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন।

তবে এরপর ধীরে ধীরে দলের সঙ্গে দূরত্ব বৃদ্ধি হওয়ার পর যশবন্ত সিনহা ২০০৯ সালে বিজেপির ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে আসেন যশবন্ত সিনহা। ২০১৮ সালে তিনি বিজেপির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন। এরপর তিনি বারংবার কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। পরে ২০২১ সালের ১৩ মার্চ যোগ দেন তৃণমূলে, আর এবার রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌঁড়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন তিনি।

Advertisements