অনলাইনেও করা যাবে ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদন, ৩০ দিনেই হাতে পাবেন কার্ড ; খাদ্য দপ্তর

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : শুধু দারিদ্র্যসীমার নিচে নয়, দারিদ্র সীমার উপরের পরিবাররাও রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন, ঘোষনা রাজ্য সরকারের। পরিবর্তে দারিদ্র সীমার উপরে বসবাসকারীদের সরকারি পরিচয় পত্র হিসাবে ভর্তুকিহীন ডিজিটাল রেশন কার্ড দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। নিম্নমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য বহুল প্রতীক্ষিত এই রেশন কার্ডের আবেদনের দরজা খুলে যাচ্ছে আগামী ৫ই নভেম্বর থেকে।

খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৫ নভেম্বর থেকে দারিদ্র সীমার উপরের পরিবারদের জন্য ভর্তুকিহীন ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। আবেদন করার জন্য সংশ্লিষ্ট রেশন দোকান অথবা খাদ্য দপ্তরের অফিস থেকে ১০ নাম্বার ফর্ম সংগ্রহ করে সেই ফর্ম পূরণ করে বিডিও অফিস, পৌরসভা, কর্পোরেশনের বোরো অফিসে আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে।। পাশাপাশি এই বিশেষ ক্যাম্পে ৩ ও ৯ নম্বর ফর্মও জমা করা যাবে। এছাড়াও ভর্তুকিহীন ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদন করা যাবে অনলাইনে।

বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য দপ্তরের ইতিহাসে এই প্রথম অনলাইনে রেশন কার্ডের জন্য আবেদন গ্রহণের পথ খুলে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অনলাইনে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য গ্রাহককে খাদ্য দপ্তরের ওয়েবসাইট www.wbpds.gov.in -এ লগইন করতে হবে। সেখান থেকে ১০ নম্বর ফর্মটি ডাউনলোড করে সেটি পূরণ করে হাতে হাতে জমা দেওয়া যেতে পারে।

হাতে হাতে জমা দেওয়া ছাড়াও পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনে সম্পন্ন করার সুযোগও থাকছে। সে ক্ষেত্রে কম্পিউটার বা মোবাইলে ফর্মটি পূরণ করে পরিচয় পত্রের প্রমান হিসাবে আধার কার্ডের ছবি আপলোড করতে হবে। আবেদনের ৩০ দিনের মধ্যে ডাকের মাধ্যমে বাড়িতে পৌঁছে যাবে ঝাঁ-চকচকে একটি ডিজিটাল রেশন কার্ড।

নতুন ডিজিটাল কার্ড হাতে পৌঁছে যাওয়ার পর পুরাতন রেশন কার্ডটি বাতিল হয়ে যাবে। নতুন স্মার্ট রেশন কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকরা ভর্তুকিহীন জিনিসপত্র কিনতে পারবেন। এমনকি এই কার্ডের মাধ্যমে বেসরকারী বিপণন কেন্দ্র থেকেও যাতে গ্রাহকরা ছাড় পান সে বিষয়েও আলোচনা চলছে বলে জানা গিয়েছে।

রাজ্য সরকারের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, “আবেদনপত্র জমা পড়ার ৩০ দিনের মধ্যে ডিজিটাল রেশন কার্ড হাতে পেয়ে যাবেন বিত্তশালী মানুষজন। এই কার্ডে নাম, ঠিকানা ছাড়াও জন্ম তারিখও উল্লেখ থাকবে। রাজ্য মনে করছে রেশন কার্ডকে এখন দু’টি ভাবে দেখা উচিত। যাঁরা গণবণ্টন ব‌্যবস্থার সুযোগ পেতে চান তাঁদের জন্য রেশন কার্ডের প্রয়োজন একটি কারণে। আর যাঁরা পরিচয়পত্র হিসেবে রেশন কার্ডকে ব্যবহার করতে চান তাঁদের প্রয়োজন এক ধরনের।”