Train Without Ticket: টাকা না থাকলেও চিন্তা নেই! এই ট্রেনে দিনে চড়ুন যতবার খুশি, লাগবে না ভাড়া

You can travel on this train without ticket: এদেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সবথেকে বড় মাধ্যম হলো রেল। ট্রেনে করে বহু মানুষ স্বল্প পয়সায় নিজেদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারে সহজে। ট্রেনে করে যে কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া সত্যিই খুব আরামদায়ক এবং সাশ্রয়ী। দূরত্ব অল্প হোক কিংবা বেশি আপনি ট্রেনে করে সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন যেকোনো জায়গায়। আজকের প্রতিবেদনে জেনে নেব টিকিট ছাড়া কোন ট্রেনে যাত্রা করা সম্ভব (Train Without Ticket)।

ভারতীয় রেল (Indian railways) কিন্তু বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেলওয়ে নেটওয়ার্ক। ভারতে এই রেল ব্যবস্থা ১৯ শতকে প্রথম চালু হয়েছিল। ভারতীয় রেলের এই নেটওয়ার্কটি প্রায় ১,১৫,০০০ কিমি এরিয়া জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে এবং এই রেলওয়ে নেটওয়ার্কে প্রায় ৭৩৪৯ টি স্টেশন রয়েছে। এই স্টেশনগুলোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছাতে পারে সহজে। তবে ট্রেনে উঠতে গেলে নির্দিষ্ট ভাড়া লাগে অবশ্যই, কিন্তু আজকের প্রতিবেদনে টিকিট ছাড়া কোন ট্রেনে যাত্রা করা যায় সেটাই আলোচনা করা হবে (Train Without Ticket)।

গত ৭৪ বছর ধরে ভারতের বুকে এমন একটি ট্রেন যাত্রা করে বেড়াচ্ছে যেখানে চড়তে গেলে যাত্রীদের এক পয়সাও খরচ করতে হয় না (Train Without Ticket)। সত্যি কি এমন কোনো ট্রেন রয়েছে? সত্যিই ভারতে এমন একটি ট্রেন চলাচল করে, যেখানে যাত্রীরা বিনামূল্যে এই ট্রেনে চড়া উপভোগ করতে পারে। ট্রেনটির নাম হল ভাঙরা নাঙ্গাল ও এই ট্রেনটি পাঞ্জাল-হিমাচল সীমার মধ্যে চলাচল করে।

ভারতের এই ট্রেনটি নাঙ্গল এবং ভাকরার মধ্যে ভাকরা বিয়াস ম্যানেজমেন্ট বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হয়। পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষ এই বাঁধকে দেখতে আসে ও ফ্রি ট্রেনে (Train Without Ticket) যাত্রা করার মজা উপভোগ করে। ট্রেনটি প্রথম ১৯৪৮ সালে চালু হয়েছিল। ঠিক তখনই ভাঙরা নাঙ্গাল বাঁধের নির্মাণ করা হয়েছিল। ট্রেনটি চালু করা হয়েছিল কারণ যখন ভাঙরা ও নাঙ্গাল ড্যাম তৈরি করা হয়েছিল তখন তার মাঝে পরিবহনের কোনও সুব্যবস্থা ছিল না। তাই বাঁধ বানানোর সাথে সাথে এই ট্রেনটিরও প্রথম যাত্রা শুরু হয়।

সেই ১৯৪৮ সাল থেকে বর্তমান সময়ে অব্দি কেউ না কেউ এই ট্রেনে অবশ্যই যাত্রা করেন। এই ট্রেনে যাত্রীসংখ্যা প্রথমে কম থাকলেও বর্তমানে কিন্তু প্রায় ৮০০ জন যাত্রী রোজ যাতায়াত করেন। এই ট্রেনটি শিবালিক পাহাড় পেরিয়ে নিজের গন্তব্য পর্যন্ত পৌঁছায় প্রায় ১৩ কিমির দূরত্ব অতিক্রম করে। ট্রেনটির মূল আকর্ষণ হলো ট্রেনটি অনেক বছরের পুরনো। এমনকি এই ট্রেনটির কোচের বক্স গুলি কাঠের তৈরি। আগে দশটি বগি থাকলেও বর্তমানে মাত্র তিনটি বগি রয়েছে। এর মধ্যে একটি পর্যটকদের জন্য এবং একটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা আছে।