Many people do not know why the owl is the bahan of Goddess Lakshmi: ধন-সম্পদ ও সৌভাগ্য আশা করেনা এমন মানুষ খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। সেই কারণে মানুষ প্রাচীনকাল থেকে আরাধনা করে আসছে দেবী লক্ষ্মী ও ভগবান গণেশের। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, যে ব্যক্তির জীবনে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ রয়েছে তার জীবন সবসময়ই সম্পদ এবং সমৃদ্ধিতে ভরে থাকবে। হিন্দুরা দেবী লক্ষ্মীকে সম্পদের দেবী হিসেবে আরাধনা করে থাকে। ধন- সম্পদ বৃদ্ধি করার আশায় মানুষ দেবী লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করতে চান। সবাই লক্ষ্মীকে তার বাহন পেঁচার সাথে দেখেছেন বিভিন্ন ছবি কিংবা মূর্তিতে। কিন্তু কেনো লক্ষ্মীর বাহন হিসেবে পেঁচাকে দেখা যায় (Lakshmi Devi Bahan)?
আশা করি সবাই দেখেছেন হিন্দু ধর্মের দেবদেবীদের নিজস্ব বাহন রয়েছে এবং প্রত্যেকটি বাহনই ভিন্ন ভিন্ন প্রাণী। সেইমত লক্ষ্মী পেঁচাকে নিজের বাহন হিসেবে বেছে নিয়েছেন (Lakshmi Devi Bahan)। কিন্তু এর পেছনেও লুকিয়ে আছে নানা পৌরাণিক কাহিনী। শুনলে আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না।
যখন প্রথম প্রকৃতি এবং পশু-পাখি সৃষ্টি হতে শুরু করে বিভিন্ন দেব-দেবী নিজেদের বাহন বেছে নেন। মা লক্ষ্মীও নিজের বাহন বেছে নেওয়ার জন্য মর্ত্যে আসেন। বিভিন্ন পশু পাখি তখন লোকের সামনে এসে উপস্থিত হয় নিজেদেরকে বাহন হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য। তখন লক্ষ্মী সমস্ত পশু-পাখিদের জানান, তিনি কার্তিক মাসের অমাবস্যার দিন মর্ত্যে ভ্রমণ করবেন ঠিক সেই সময় যে পশুপাখি তার সামনে আগে আসবে তাকেই তিনি বাহন হিসেবে বেছে নেবেন (Lakshmi Devi Bahan)।
কার্তিক মাসের অমাবস্যা তাই স্বাভাবিকভাবে রাতের দিকে অন্ধকার থাকবে। দিনের বেলা পশু পাখিদের দেখা গেলেও রাত্রিবেলা তেমন একটা দেখতে পাওয়া যায় না। কার্তিক মাসের অমাবস্যার রাতে ধনলক্ষ্মী মর্ত্যে নেমে আসেন, পেঁচাই প্রথম লক্ষ্মীকে দেখে কাছে পৌঁছে যায়। আসলে পেঁচা তো নিশাচর প্রাণী। পেঁচার এই গুণের জন্য লক্ষ্মী তাকে পছন্দ করে এবং তাকে নিয়ে নিজের যাত্রা শুরু করেন। সেই থেকে লক্ষ্মীকে পেঁচা বাহনীও বলা হয় (Lakshmi Devi Bahan)।
হিন্দু শাস্ত্রমতে, মা লক্ষ্মীর সঙ্গে তার বাহনও সমানভাবে পূজিত হয় প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে। প্রত্যেক দেবদেবীর বাহনের মতো লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা গুরুত্বপূর্ণ হিন্দুদের কাছে। পেঁচার নানারকম গুণাবলীর জন্য মা লক্ষ্মীও তাকে বেছে নিয়েছিলেন।