Baryl Vanneihsangi: মিজোরামের কনিষ্ঠতম বিধায়ক! যাকে দেখলে আপনিও প্রেমে পড়ে যাবেন!

Mizoram’s youngest MLA Baryl Vanneihsang is now the heartthrob of the younger generation: অবশেষে মিজোরাম বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরে যে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে এসেছে তাওবা করেছে অনেককেই। যেসব প্রার্থী সেই নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল তাদের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের হার্টথ্রব বলে পরিচিত বারিল ভান্নাইসাঙ্গি (Baryl Vanneihsangi)। আসলে তিনি নাকি সর্ব কনিষ্ঠ বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। জয়ী হওয়ার পর থেকেই ভান্নাইসাঙ্গিকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে জোরকদমে।

জানলে আশ্চর্য হবেন যে আইজল দক্ষিণ-৩ আসন থেকে জয়লাভ করেছেন মাত্র ৩২ বছরের তরুণী বারিল ভান্নাইসাঙ্গি(Baryl Vanneihsangi)। তিনি ছিলেন আসলে জোরাম পিপলস মুভমেন্ট বা জেডপিএমের একজন সদস্য। বারিল মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ)-এর প্রার্থী লালনুনমাবিয়াকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন। অল্প বয়সী এই তরুণী দেড় হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হন। বর্তমানে তাঁর দল জেডপিএম এবার মিজোরামে ক্ষমতা এসেছে।

সূত্র মারফত জানা গেছে যে, মিজোরামে সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক বারিল (Baryl Vanneihsangi) কিন্তু তরুণ ও তরুণীর মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। এর আসল কারণ হলো ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ২ লাখ ৫২ হাজারের বেশি। তিনি বাদেও মিজোরামের বিধানসভা নির্বাচনে মোট ৩ জন মহিলা প্রার্থী বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। মিজোরামের এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১৭৪। এর মধ্যে মোট মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১৬।

মজার ব্যাপার হলো মহিলা প্রার্থীদের মধ্যে ২ জন দু’টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। মোট ১৮টি আসনে জোরকদমে লড়াই করেছিল মহিলা প্রার্থীরা। বারিল ভান্নাইসাঙ্গি (Baryl Vanneihsangi) বর্তমানে বিধায়ক পদে আসীন হয়ে যথেষ্টই খুশি। এমনকি তিনি সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন, বিপদে-আপদে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের পাশে থাকবেন। সেই সঙ্গে মহিলাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেও মনে করছেন তিনি।

আরও পড়ুন 👉 Meghalaya Nongjrong Village: দার্জিলিং, পুরির দিন শেষ! হাত দিতে মেঘ ছুঁতে হলে এবার ঘুরে আসুন এই অফবিটে!

নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা জমা দেওয়া হয় সেটা অনুযায়ী তিনি (Baryl Vanneihsangi) আগে ছিলেন আইজল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে কর্মী। সবথেকে কনিষ্ঠা এই বিধায়ক স্কুলের গণ্ডি পার করে শিলং-এর নর্থ ইস্টার্ন হিল ইউনিভার্সিটি থেকে চারুকলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি আগে একজন টিভি উপস্থাপক হিসেবে কাজ করেছেন এছাড়াও ছিলেন রেডিও জকিও। নির্বাচনের আগে তার নামে যে হলফনামা দাখিল করা হয়েছে তাতে তাঁর বিরুদ্ধে নেই কোনও অপরাধমূলক কাজের রেকর্ড।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত ডিসেম্বরের ৪ তারিখ ৪০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের ফল প্রকাশ করা হয়েছিল। বারিল ভান্নাইসাঙ্গির দল দখল করেছে মোট ২৭টি আসন। তারা হারিয়েছে জোরামথাঙ্গার নেতৃত্বাধীন এমএনএফকে এবং পেয়েছে মোট ১০টি আসন। পাশাপাশি বিজেপি ২ এবং কংগ্রেস ১টি আসন পায়। গত বিধাসভায় কোনও মহিলা বিধায়ক ছিল না। সেখানে মিজোরাম ৩ জন মহিলা বিধায়ক পেয়েছে। এখন শুধুই অপেক্ষা বারিলকে তাঁর দল মন্ত্রী করে কিনা।