করোনা যুদ্ধে জয়ী বীরভূমের যুবক, বাড়ি ফিরতেই সম্বর্ধনা

নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘদিন ধরে কোনরকম করোনা সংক্রমণের নামগন্ধ না থাকা বীরভূম জেলায় হঠাৎ করে এপ্রিল মাসের শেষের দিকে মুম্বাই ফেরত তিনজনের শরীরে ধরা পড়ে সংক্রমণ। ঠিক তার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই আরও তিনজনের শরীরে ধরা পড়ে নতুন করে সংক্রমণ। প্রথম তিন সংক্রামিত ব্যক্তি ময়ূরেশ্বর এলাকার, পরে আরও তিনজন যথাক্রমে দুবরাজপুর ও রামপুরহাট এলাকার। এরপর আবার চলতি সপ্তাহের সোমবার নলহাটি এলাকার আরও এক ব্যক্তির শরীরে ধরা পড়েছে নতুন করে সংক্রমণ। বর্তমানে জেলায় মোট সংক্রমনের সংখ্যা ৭।

তবে সংক্রমণের সংখ্যাটা বাড়লেও খুশির খবর এটাই যে ইতিমধ্যেই জেলার ৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অর্থাৎ জেলায় মোট অ্যাক্টিভ সংক্রমণ মাত্র ৩। আর সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৫৭%। গত সপ্তাহেই ময়ূরেশ্বরের তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন দুর্গাপুরের সনোকা কোভিড থেকে। এরপর আবার গতকাল অর্থাৎ সোমবার বোলপুরের গ্লোকাল কোভিড হাসপাতাল থেকে করোনা যুদ্ধে জয় লাভ করে বাড়ি ফিরলেন রামপুরহাটের যুবক। আর ওই যুবকের বাড়ি ফিরতেই এলাকার বাসিন্দারা ফুলের মালা পরিয়ে, পুষ্পবৃষ্টি করে তাকে সম্বর্ধনা দেয়।

রামপুরহাটের এই যুবক কলকাতার একটি ব্যাগ কারখানায় কর্মরত ছিলেন। লকডাউন চলাকালীনই সে বাড়ি ফিরে আসে। জেলা প্রশাসন তাকে রামপুরহাটের কিষাণ মান্ডি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠায়। এরপর তার লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে করোনা পজেটিভ আসে। করোনা পজিটিভ আসার পর তাকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় বোলপুরের গ্লোকাল কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য।তারপর পরপর তিনবার টেস্ট করালে দেখা যায় প্রত্যেকবারই ফলাফল নেগেটিভ। যার পরেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বাড়ি আসার জন্য।

সদ্য করোনা যুদ্ধে জয়লাভ করা ওই যুবকের কথা অনুযায়ী, “আমার কোনদিনই মনে হয়নি আমার শরীরে ভাইরাস আছে।”