নিজস্ব প্রতিবেদন : বোলিং থেকে ব্যাটিং, ফিল্ডিং সব ক্ষেত্রেই ভারতের অন্যতম একজন খেলোয়াড় হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন ইউসুফ পাঠান (Yusuf Pathan)। বর্তমানে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেও বিভিন্ন দেশের লীগ ম্যাচে অংশগ্রহণ করছেন। সেই রকমই একটি লীগ ম্যাচে মারকাটারি ব্যাটিং দেখা গেল ইউসুফের। তার এই মারকাটারি ব্যাটিংয়ে রীতিমতো ভূত ভাগলো আমিরদের।
ইউসুফ পাঠানের এমন তান্ডব চালানো ব্যাটিং দেখা যায় জিম্বাবুয়ে আফ্রো টি-১০ লিগে। এই লীগে তিনি যেভাবে ব্যাট চালিয়েছেন তাতে তিনি আরও একবার প্রমাণ করলেন, এখনো তিনি শেষ হয়ে যাননি। এখনো তিনি অস্ত্র চালাতে আগের মতই পটু। টুর্নামেন্টের প্রথম কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে রীতিমত নিজের দায়িত্বে দলকে জয় এনে দিয়েছেন। এমন জয়ের ফলে এখন অনেক এডভান্টেজ অবস্থায় রয়েছে জোহানেসবার্গ বাফেলোজ।
এই লীগে হারারে স্পোর্টস ক্লাবে আয়োজিত ডারবান কালান্দার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে টসে জিতে মহঃ হাফিজের দল জোহানেসবার্গ বাফেলোজ ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু ডারবান কালান্দার্স প্রথম থেকেই বিধ্বংসী ব্যাটিং করে বিরাট রান খাঁড়া করে। ১০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৪০ রান সংগ্রহ করে তারা। বিশাল এই রানকে সামনে রেখে জয়ের জন্য ব্যাট হাতে নামেন জোহান্সবার্গ বাফেলোজ দলের ব্যাটারা। এই রান টপকানো কঠিন হলেও ইউসুফ পাঠানের দৌলতে অনায়াসেই জয় পায় জোহানান্সবার্গ বাফেলোজ।
Far from over when @iamyusufpathan is in this form! ?#JBvDQ #T10League #ZimAfroT10 #CricketsFastestFormat pic.twitter.com/Cdgi7HCsAd
— T10 League (@T10League) July 28, 2023
১৪০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাটিং করতে নেমে জোহানাসবার্গ বাফেলোজ ৯.৫ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। ৯.৫ ওভারে তাদের সংগৃহীত রান সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪২। এর ফলে এক বল বেঁচে থাকতেই ছয় উইকেটে জয়লাভ করে জোহানাসবার্গ বাফেলোজ। জোহানাসবার্গ বাফেলোজ ব্যাটিং করার সময় ইউসুফ পাঠান মাত্র ২০ বলে দুটি চার এবং পাঁচটি ছক্কার বিনিময়ে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন। শেষমেষ পাঁচটি চার এবং আটটি ছক্কার বিনিময়ে তিনি ২৬ বলে ৮০ রান সংগ্রহ করেন।
Class is permanent! ?
Man of the moment – @iamyusufpathan ?#ZimAfroT10 #JBvDQ #CricketsFastestFormat #T10League #InTheWild pic.twitter.com/3Nf4BUBtEG
— T10 League (@T10League) July 28, 2023
ইউসুফ পাঠান এই দিনের এই ম্যাচে বিধ্বংসী ব্যাটিং করে রীতিমতো স্টেডিয়ামে তান্ডব তুলে দেন। দলকে জেতানোর পাশাপাশি তিনি শেষ পর্যন্ত নট আউট থাকেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো শেষ ওভারে এই ম্যাচ জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০ রান। শেষ ওভারে প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইকে আসেন ইউসুফ পাঠান। তারপর দ্বিতীয় বলে ছক্কা, তৃতীয় বলে চার, চতুর্থ বলে ছক্কা এবং পঞ্চম বলে চার হাঁকিয়ে দলকে জয় পাইয়ে দেন।