নিজস্ব প্রতিবেদন : কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন কার না থাকে। সে দিনমজুর হোক অথবা অন্য কোন পেশায় যুক্ত। তবে সবার পক্ষে তো আর সেই স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব হয় না। স্বপ্নপূরণের এই দৌড়ে যখন অধিকাংশ মানুষ দৌড়াচ্ছেন ঠিক সেই সময় এক দিনমজুরের ক্ষেত্রে ঘটে গেল মিরাকল। ওই দিনমজুরের অ্যাকাউন্টে হঠাৎ ১০০ কোটি টাকা জমা পড়ে (100 crore rupees)। বিপুল অংকের এই টাকা যে কোন মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে। তবে এই যে দিনমজুরের কথা বলা হচ্ছে তার ক্ষেত্রে ঘটলো ভিন্ন ঘটনা।
দিনমজুরের অ্যাকাউন্টে এইভাবে ১০০ কোটি টাকা ঢোকার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানার বাসুদেবপুর গ্রামে। ২৬ বছর বয়সী দিনমজুর মহঃ নাসিরুল্লাহর অ্যাকাউন্টে এইভাবে টাকা ঢোকে। এইভাবে এত টাকা ঢোকার পরিপ্রেক্ষিতে ওই যুবক এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ঘুম উড়েছে তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের। এখন তিনি কি করবেন খুঁজে পাচ্ছেন না। সবাই রীতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
তবে এইভাবে নাসিরুল্লাহ এবং তার পরিবারের দিশেহারা হয়ে পড়ার পিছনে রয়েছে অন্য কারণ। এত এত টাকা পেয়ে সবাইকে আহ্লাদে আটখানা হয়ে উঠতে দেখা যায়। কিন্তু নাসিরুল্লাহর ক্ষেত্রে ঘটেছে উল্টো ঘটনা। অ্যাকাউন্টে ১০০ কোটি টাকা ঢোকার পর তার বাড়িতে আসে পুলিশ এবং সাইবার ক্রাইমের নোটিশ। গত বৃহস্পতিবার এমন নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ এবং সাইবার সেলের তরফ থেকে যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, জঙ্গিপুর জেলা পুলিশের অধীনে থাকা রঘুনাথগঞ্জ থানায় নাসিরুল্লাহর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নাসিরুল্লাহকে ৩০ মে থানায় দেখা করতে বলা হয়েছে। নাসিরুল্লাহ এই নোটিশ পাওয়ার পর খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন তার অ্যাকাউন্টে ১০০ কোটি টাকা এসেছে। গুগল পে অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক থাকা অ্যাকাউন্টে এই বিপুল টাকা রয়েছে।
ঘটনার পর নাসিরুল্লাহ ব্যাংকে যান এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে তার অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স চেক করতে বলেন। তখন অবশ্য ব্যাংক ম্যানেজার তার অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স জানান মাত্র ১৭ টাকা। এরই মধ্যে নাসিরুল্লাহ জিজ্ঞেস করেন তাহলে তার অ্যাকাউন্টে ১০০ কোটি টাকা কেন দেখাচ্ছে? এমনটা শুনে ম্যানেজার পুনরায় ব্যালেন্স চেক করতে গেলে জানতে পারেন অ্যাকাউন্টটি লক করে দেওয়া হয়েছে।
এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নাসিরুল্লাহ স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন, ওই টাকা তার নয় এবং তার অ্যাকাউন্টে কিভাবে এসেছে তা তিনি জানেন না। পুলিশ যখন তাকে নোটিশ পাঠায় তখনই তিনি বুঝতে পারেন ঠিক এই কারণেই নোটিশ এসেছে। তবে তিনি ওই টাকা তার অ্যাকাউন্ট থেকে যাতে দ্রুত তুলে নেওয়া হয় সেই দাবি করেছেন এবং এই রকম অশান্তি থেকে তিনি মুক্তি পেতে চান বলে জানিয়েছেন।