নেতাজির ১৫ বাণী আজও অনুপ্রেরণা জোগায় দেশবাসীকে, বদলে দেবে আপনার জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদন : আগামী ২৩ জানুয়ারি নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী। তাই নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। তিনিই ভারতের একমাত্র রাষ্ট্রনায়ক, ভারত বর্ষের গৌরব। যদিও দেশ নায়কের মৃত্যু সম্পর্কে আজ পর্যন্ত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও তিনি অমর হয়ে আছেন প্রতিটি ভারতবাসীর মনে।

সকলের প্রিয় নেতাজি বেশ কিছু বার্তা দিয়েছিলেন দেশবাসীর উদ্দেশ্যে, যেগুলি আজও ভারতের যুবসমাজ ও দেশবাসীকে অনুপ্রাণিত করে তোলে। ‘তোমরা আমায় রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো।’ এটা তো সকলের জানা, তবে আজ জেনে নিন নেতাজির সেই অজানা ইতিবাচক বার্তা গুলি, যেগুলি কাজে লাগবে আপনারও।

১) “প্রকৃতির সঙ্গ ও শিক্ষা না পাইলে, জীবন মরুলোকে নির্বাসনের মত, সকল রস ও অনুপ্রেরণা হারায়।”

২) ” জীবনে প্রগতির আশা নিজেকে ভয়, সন্দেহ থেকে দূরে রাখে এবং তার সমাধানের প্রয়াস চালাতে থাকে।”

৩) “ভারত ডাকছে। রক্ত ডাক দিয়েছে রক্তকে। উঠে দাঁড়াও আমাদের নষ্ট করার মতো সময় নেই। অস্ত্র তোলো!..যদি ভগবান চান , তাহলে আমরা শহিদের মৃত্যু বরণ করব।”

৪) “বাস্তব বোঝা কঠিন। তবে জীবনকে সত্যতার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সত্যকে গ্রহণ করতে হবে।”

৫) “মানুষ, টাকাকড়ি ,বাহ্যিক আড়ম্বর দিয়ে জয়লাভ বা স্বাধীনতা কেনা যায় না। আমাদের আত্মশক্তি থাকতে হবে, যা সাহসী পদক্ষেপ নিতে উত্‍সাহ দেবে।”

৬) “মানুষ যতদিন বেপরোয়া, ততদিন সে প্রাণবন্ত।”

৭) “নরম মাটিতে জন্মেছে বলেই বাঙালির এমন সরল প্রাণ”।

৮) “আমাদের সবচেয়ে বড় জাতীয় সমস্যা হল, দারিদ্র, অশিক্ষা, রোগ, বৈজ্ঞানিক উত্‍পাদন। যে সমস্যাগুলির সমাধান হবে, কেবলমাত্র সামাজিকভাবনা চিন্তার দ্বারা।”

৯) “কোনও একটা চিন্তনের জন্য একজন মৃত্যুবরণ করতে পারেন। কিন্তু সেই চিন্তনের মৃত্যু হয় না। সেই চিন্তন একজনের মৃত্যুর পর হাজার জনের মধ্যে ছড়িয়ে যায়।”

১০) “শুধু আলোচনার মাধ্যমে ইতিহাসের কোন আসল পরিবর্তন সাধিত হয়নি।”

১১) “মনে রাখতে হবে যে সবচেয়ে বড় অপরাধ হল অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ।”

১২) “নিজের প্রতি সত্য হলে বিশ্বমানবের প্রতি কেউ অসত্য হতে পারে না।”

১৩) “যদি জীবনে সংগ্রাম, ঝুঁকি না থাকে , তাহলে জীবন বাঁচাটা অনেকটা ফিকে হয়ে যায়।”

১৪) “স্বাধীনতা দেওয়া হয়না, ছিনিয়ে নিতে হয়।”

১৫) “জগতের সব কিছু ক্ষণভঙ্গুর। শুধু একটা জিনিস ভাঙে না, সে বস্তু, ভাব বা আদর্শ।”