নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক ধরেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকা এবং নদীতে যে সকল মৎস্যজীবীরা মাছ ধরেন তাদের জালে উঠছে দামি দামি মাছ। দিন কয়েক আগেই দেখা যায় দীঘায় একটি বিশালাকৃতির তেলিয়া ভোলা মাছ ওঠে। ২ লক্ষ ৭১ হাজার টাকার কিছু বেশি দামে সেই মাছ বিক্রি হয়। আবার রবিবার সেখানে প্রায় ৫৫০ কেজি ওজনের একটি চিরুনি ফাল মাছ পাওয়া যায়।
এছাড়াও এই ধরনের বিশালাকৃতির মাছ উঠতে দেখা যায় মুর্শিদাবাদে, হাওড়ায়। মুর্শিদাবাদের ওঠে বিশালাকৃতির একটি সিলভার কার্প মাছ এবং হাওড়ায় ওঠে বিশালাকৃতির একটি ভেটকি মাছ ওঠে। প্রতিটি মাছেরই দাম সাধারণ মাছের তুলনায় অনেক বেশি ছিল। কারণ একটাই তাহলে ওজনে বেশি। যদিও তেলিয়া ভোলা মাছের ক্ষেত্রে দামের অন্য কারণ রয়েছে।
পরের পর বিশালাকৃতির মাছ মৎস্যজীবীদের জালে ওঠার মধ্যেই সুন্দরবনের সাগর ব্লকের দেবী মথুরাপুরের চার মৎস্যজীবীর জালে ধরা পড়েছে একটি নোরে ভোলা। এটি তেলিয়া ভোলা জাতীয় মাছ। তাদের জালে এই মাছটি ধরা পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে লটারি জেতার মতই রাতারাতি তাদের ভাগ্য বদলে গিয়েছে।
এই চারজন মৎস্যজীবী অধিকাংশ সময় একত্রিত হয়ে সাগরের বটতলা নদীতে জাল ফেলেন মাছের সন্ধানে। এরই মধ্যে শনিবার তাদের জালে ওঠে ২৫ কেজি ওজনের ওই নোরে ভোলা মাছটি। বড় মাপের এই নোরে ভোলা মাছ দেখে তারা স্বাভাবিকভাবেই খুশি হন এবং সেই মাছ বিক্রি করার জন্য মৎস্য বাজারে তা নিয়ে যান।
মাছটিকে বিক্রি করার জন্য স্থানীয় নিশ্চিন্দপুরের মাছ বাজারে নিয়ে আসা হলে সেটি দেখার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড় জমতে শুরু করে। পরে ওই মাছটি নিলাম করা হয় এবং নিলামে এক হাজার টাকা কিলো দাম ওঠে। মাছটি ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। মাছটি বিক্রি করে ২৫ হাজার টাকা দাম পাওয়ার ফলে খুশি ওই মৎস্যজীবীরা।