নিজস্ব প্রতিবেদন : ব্যান পিরিয়ড কাটিয়ে ফের মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে জাল ফেলতে শুরু করেছেন। দীঘা (Digha) এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে হাজার হাজার ট্রলার সমুদ্রে পাড়ি দেয় মাছ ধরার জন্য। এদের মধ্যেই দেওয়া ১৭ টি ট্রলার একসঙ্গে পাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে বর্ষার (Monsoon) মরশুম শুরু হতেই এইভাবে যে তাদের ভাগ্য খুলে যাবে তা হয়তো তারা ভাবতে পারেননি।
দীঘার সমুদ্রে পাড়ি দেওয়া ১৭ টি ট্রলারের মৎস্যজীবীদের জালে হঠাৎ আসতে দেখা যায় আস্ত তেলিয়া ভোলা মাছ। ৩০ কেজি ওজনের ওই মাছ জালে পড়তেই রীতিমত খুশিতে আত্মহারা হয়ে যান মৎস্যজীবীরা। সমুদ্র থেকে আস্ত সেই তেলিয়া ভোলা মাছ আনা হয় দীঘার মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে। এত বড় এই তেলিয়া ভোলা মাছটি ধরা পড়ে বাবা সাহেব ৫ নম্বর ট্রলারটিতে।
৩০ কেজি ওজনের তেলিয়া ভোলা মাছ জালে ধরা পড়ার পর সেটি দিঘার মোহনার মৎস্য কেন্দ্রের আনা হলে উৎসুক মানুষদেরও ভিড় জমতে শুরু করে। খবর পেয়েই বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা আসতে শুরু করেন, কারণ এই মরশুমের তো অবশ্যই, পাশাপাশি খুব কম সময় এত বড় তেলিয়া ভোলা মাছ দেখতে পাওয়া যায়। বড় মাপের ওই তেলিয়া ভোলা মাছের নিলাম করে সেটি বিক্রি করা হয়।
নিলাম কেন্দ্র থেকে প্রেমানন্দ বর্মন নামে এক ব্যবসায়ী আস্ত ওই তেলিয়া ভোলা মাছটি কিনেছেন। নিলাম শেষে ওই মাছটির প্রতি কেজি দাম ওঠে ১৮৫০০ টাকা। মাছটির মোট দাম দাঁড়ায় ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা। বর্ষার মরশুম শুরু হতেই এইভাবে একটি মাছ পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি দামে বিক্রি করা মানেই মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফোটানো। আগামী দিনেও এই ধরনের বহুমূল্যবান মাছ যাতে তাদের জালে ধরা পড়বে সেই রকমই আশা করছেন তারা।
তেলিয়া ভোলা মাছের দাম এত বেশি হওয়ার কারণ এর ঔষধি গুণ। এই মাছের পটকা সহ অন্যান্য বিভিন্ন অংশ ওষুধ তৈরীর কাজে লাগানো হয়। যে কারণেই যখনই কোথাও এই ধরনের মাছ মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে তখনই বড় বড় ব্যবসায়ীরা তা বেশি দাম দিয়ে কিনে নেন। ভারতীয় বাজার ছাড়াও এই ধরনের মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বিদেশের বাজারেও।