ঝুপড়ি থেকে সোজা পাকা বাড়ি! ভাগ্য খুলছে ৩০ হাজার বস্তিবাসীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্র সরকারের (Central Government) তরফ থেকে দেশের সাধারণ মানুষদের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প চালু করে থাকে। এই সকল প্রকল্পের সুবিধা পেতে মুখিয়ে থাকেন সাধারণ নাগরিকরা। সরকারি এই সকল প্রকল্প যেমন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে শুরু করে অন্যান্য নানান প্রকল্প দেশের আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেয় ঠিক সেই রকমই আবার অন্যান্য নানান সুবিধা দিয়ে থাকে। ঠিক সেই রকমই এবার ৩০ হাজার বস্তিবাসীকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার।

অক্টোবর মাসেই কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এমন বড় উপহার তুলে দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। যাদের এমন মাথা গোজার ঠাঁই করে দেওয়া হবে তারা এতদিন বস্তি অথবা ঝুপড়িতে বসবাস করতেন। কেন্দ্রের এই প্রকল্পের ফলে এই বিপুলসংখ্যক মানুষদের এবার শীতের ঠান্ডা থেকে শুরু করে বর্ষার বৃষ্টিতে ভিজতে হবে না। এর জন্য কেন্দ্রের তরফ থেকে বড় এক আবাসন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে।

এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন সেই সকল মানুষেরা যারা টেক্সটাইল শ্রমিক, বিড়ি শ্রমিক, অসংগঠিত শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক ইত্যাদি পেশার সঙ্গে যুক্ত। এমন বড় আবাসন প্রকল্পের উদ্বোধন হতে চলেছে মূলত মহারাষ্ট্র হাউজিং অ্যান্ড এরিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির তত্ত্বাবধানে। পাশাপাশি এই প্রকল্পে সহযোগিতা করছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প। দুয়ের তত্ত্বাবধানেই এমন বড় আবাসন প্রকল্প শুরু হতে চলেছে।

এমন বড় আবাসন প্রকল্প শুরু হতে চলেছে মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়েই এই প্রকল্পের উদ্বোধন হবে। তবে শুধু সোলাপুর নয়, এর পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের ধারাভি, কামাথিপুরা বস্তি এলাকাতেও এমন মাথার ছাদ দেওয়ার প্রকল্পের কাজ চলছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সেখানেও বস্তির জায়গায় তৈরি হয়ে যাবে পাকা বাড়ি। কেন্দ্রের এই প্রকল্প বহু মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

মহারাষ্ট্রের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব ভালসা নায়ার সিং জানিয়েছেন, সোলাপুরের রায়নগরে ১০০ একর জমিতে এই প্রকল্পের কাজ চলছে। যেখানে ৩০ হাজার বাড়ি তৈরীর কাজ চলছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ১৫ হাজার বাড়ি তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি যে ১৫ হাজার বাড়ি তৈরি এখনো শেষ হয়নি তা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে।