অনুব্রত গড়ে তৃণমূলে ভাঙন, ৩৫০ সংখ্যালঘু পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

লাল্টু : বিধানসভা নির্বাচনের আগে হাতে মাত্র আর কয়েকটা মাস। তবে এর আগে রাজ্যের শাসক দলের অন্দরে শুরু হয়েছে বিবাদ, বেসুরো বেশ কয়েকজন বিধায়ক। আর এরই মাঝে এবার অনুব্রত গড়ে ভাঙ্গন দেখা গেল তৃণমূলে। প্রায় ৩৫০ সংখ্যালঘু পরিবার তৃণমূল ছেড়ে নাম লেখালো পদ্ম শিবিরে।

বৃহস্পতিবার দুবরাজপুর ব্লকের বালিজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের আগয়া গ্রাম ও কাপাসতোর গ্রাম থেকে ২৫০টি সংখ্যালঘু পরিবার এবং লক্ষীনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাকুরিয়া গ্রাম থেকে ১০০টি সংখ্যালঘু পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। দুবরাজপুরের বিজেপির দলীয় অফিসে তাদের হাতে পতাকা তুলে দেন বীরভূম জেলার বিজেপির সাধারন সম্পাদক উত্তম কুমার রজক।

বিশেষ উল্লেখযোগ্য, এদিন যেসকল সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি শিবিরে নাম লেখালেন তাদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যাও। দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির বর্তমান সদস্যা রফিকা বিবি এদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার কারণ হিসাবে রফিকা বিবি জানিয়েছেন, “গরিব মানুষদের ত্রিপল দেওয়ার দরকার হলে তা পর্যন্ত দেওয়া হতো না। এই সকল কারণে আমি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম।”

এই যোগদান শিবিরে অন্যান্য যেসকল বিজেপি নেতারা ছিলেন তারা দুবরাজপুর ব্লক সভাপতি সাধন ধীবর, বিজেপি নেতা প্রভাত চ্যাটার্জি, বীরভূম জেলা যুব মোর্চা সাধারণ সম্পাদক শ্যামসুন্দর গড়াই সহ অন্যান্যরা।

এছাড়াও এদিন দুবরাজপুর বিজেপি মন্ডলের তরফ দুবরাজপুর থানায় একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। প্রশাসনিক নিরপেক্ষতার অভাবের অভিযোগ তুলে এই স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। পাশাপাশি স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সময় বিজেপি নেতা কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান এবং পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি তোলেন। বিক্ষোভের সময় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রানীগঞ্জ-মোড়গ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। স্মারকলিপি প্রদান এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার সম্পাদক অনুপ সাহা, দুবরাজপুর শহর সভাপতি সন্দীপ আগরওয়াল, বিজেপি নেতা প্রভাত চ্যাটার্জী, শৈলেন মাহাতো, অরিন্দম মুখার্জী, বাসুদেব দাস, শ্যামসুন্দর গড়াই এবং অন্যান্য বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।

যদিও তৃণমূল বীরভূম জেলা সংখ্যালঘু সভাপতি কাজী ফজ্জুদ্দিন দাবি করেছেন, “যাদের এদিন বিজেপিতে যোগদান করানো হলো বলে দাবি করল বিজেপি, তারা আগে থেকেই বিজেপি কর্মী। টাকা পয়সা দিয়ে কেবল সাধারণ মানুষের আই ওয়াশ করা হলো। বিজেপির এখন অনেক টাকা, নোট বন্দির টাকা-পয়সা খরচ করছে বাংলার ভোটে।”