নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে সবেমাত্র শেষ হয়েছে চার দফা নির্বাচন। এখনো বাকি রয়েছে চার দফা। তবে এই প্রথম চার দফাতেই রাজ্যের নেতা-নেত্রীদের মুখ থেকে যে ধরনের বিস্ফোরক ও উস্কানিমূলক মন্তব্য বের হতে দেখা গিয়েছে তাতে ইতিমধ্যেই চারজন হেভিওয়েট নেতা নেত্রী কমিশনের কোপে। উল্লেখযোগ্য হবে প্রথম কমিশনের কোপের শিকার হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার কমিশনের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যেকোনো ধরনের প্রচারে। ২৪ ঘন্টার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তারকেশ্বরে সংখ্যালঘু ভোট সম্পর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের দেওয়া নোটিশের জবাবে কমিশন সন্তুষ্ট না হওয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কমিশনের পদক্ষেপের পরেই তৃণমূলের তরফ থেকে কমিশনের বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন তোলা হয় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থানে বসেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর বাকি যে সকল হেভিওয়েট নেতা কমিশনের কোপে পড়েছেন তারা প্রত্যেকেই গেরুয়া শিবিরের। প্রথমেই রয়েছেন রাহুল সিনহা, এরপর দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী।
রাহুল সিনহা : শীতলকুচি ঘটনার পর রাহুল সিনহা মন্তব্য করেছিলেন, ‘শীতলকুচিতে ৪ জনের মধ্যে ৮ জনকে মারা উচিত ছিল। কেন কেন্দ্র বাহিনী তা হলো না তার জন্য শোকজ করা উচিত। যারা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ১৮ বছরের যুবককে গুলি করে তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে বোমা ছুঁড়ে তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট ভাঙার অপরাধী রাহুল সিনহার উপর ৪৮ ঘন্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
দিলীপ ঘোষ : ‘বাংলায় দুষ্টু ছেলে আর থাকবে না। কেউ যদি বাধা দেয় শুনবেন না। কেউ বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।’ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন শোকজ করলো। আগামীকাল সকাল দশটার মধ্যে শোকজের উত্তর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে।
শুভেন্দু অধিকারী : বিজেপির আরও এক হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারীও এবার কমিশনের কোপে। যদিও তাকে কেবলমাত্র সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গত ২৯ শে মার্চ নন্দীগ্রামের এক সভায় শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্য রাখার সময় বলেন, “একদিকে আমাদের বেগম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে রয়েছে আপনাদের পরিবারের ছেলে। এখন বলুন, আপনারা কাকে ভোট দেবেন? বেগমকে নাকি আপনাদের ছেলেকে? বেগমকে ভোট দিলে এখানে মিনি পাকিস্তান হবে।”
[aaroporuntag]
এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীকে নোটিশ পাঠায় কমিশন এবং তার উত্তর দিতে বলা হয়েছিল ৮ এপ্রিলের মধ্যে। শুভেন্দু সেই নোটিশের উত্তর দিলেও কমিশন তাতে সন্তুষ্ট হয়নি। তবে এই যাত্রায় শুভেন্দু অধিকারীকে কেবলমাত্র সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।