নিজস্ব প্রতিবেদন : শুক্রবার সকাল থেকেই সরগরম হয়ে উঠেছিল অনুব্রত গড় বোলপুর। কেননা ঐদিন সাত সকালে ইডি আধিকারিকরা হানা দিয়েছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার (Chandranath Sinha) বাড়িতে। ইডি আধিকারিকরা তার বাড়িতে যে সময় হানা দিয়েছিলেন সেই সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। পরের ছেলের ফোন পেয়ে বাড়ি ফেরেন।
শুক্রবার আনুমানিক সকাল ন’টা থেকে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা হানা দিয়ে তল্লাশি শুরু করেন। প্রথমদিকে কয়েক ঘণ্টার তল্লাশি হবে বলে অনুমান করা হলেও দেখতে দেখতে তা রাত ১০টা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। ১৩ ঘণ্টার এই তল্লাশির পর মন্ত্রীর বাড়ি থেকে কি উদ্ধার হল তা নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ ছিল না। তবে শুক্রবার কি কি উদ্ধার হয়েছে তা জানা না গেলেও শনিবার জানা গেল।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ ইহার বাতে হানা দেওয়ার পর সেখান থেকে ইডি আধিকারিকরা ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার (ED take Action on Chandranath Sinha) করেন। এই বিপুল অংকের টাকা কোথায় থেকে এলো অর্থাৎ এই টাকার উৎস কি তা সম্পর্কে কিন্তু সঠিক উত্তর দিতে পারেননি মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস জানাতে না পারার কারণেই ওই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে ইডি করতে আনা গিয়েছে, নগদ ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে মন্ত্রীর বাড়ি থেকে। এছাড়াও তার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। এমনকি তাকে পরবর্তীতে আবার জেরার জন্য ডাকা হতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্রে। যদিও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এই সকল বিষয়ে নিয়ে কোন কথা বলেননি, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করেছেন বলেই দাবি করেছেন।
রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে এইভাবে ইডি আধিকারিকদের হানা দেওয়ার পিছনে রয়েছে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া কুন্তল ঘোষের থেকে একটি রেজিস্টার উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাতে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার নাম উল্লেখ রয়েছে। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার আচমকা মন্ত্রীর বাড়িতে অতিথি হিসাবে হাজির হয়েছিল পাঁচজনের ইডি আধিকারিকদের একটি দল।