‘লাগাও, ঠিক বলেছে’ থেকে ‘ছুঁয়ো না ছুঁয়ো না’! সায়নী ঘোষের ৫ বিতর্কিত কাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাম মনোভাবাপন্ন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh) হঠাৎ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসক দল তৃণমূলে যোগ দেন। তার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বিধানসভায় টিকিট পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি জয়লাভ করতে পারেননি। তবে জয়লাভ করতে না পারলেও তৃণমূল তাকে হতাশ না করে বসিয়ে দেন যুব তৃণমূলের শীর্ষ পদে। তবে শাসক দলে আসার তিন বছর কাটতে না কাটতেই একের পর এক বিতর্কিত কান্ড ঘটান তিনি। তৃণমূলের যোগ আগে একটি আর যোগ দেওয়ার পর তার চারটি কান্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল।

১) তার প্রথম কান্ড ছিল ২০১৫ সালে। যখন অবশ্য তৃণমূলের সঙ্গে তার কোন যোগ ছিল না। সেই সময় তিনি তার টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন যেটি ছিল শিব লিঙ্গকে কনডম পরানো। যা বুলা দির শিবরাত্রি নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। যদিও সায়নী ঘোষ সেই বিতর্কিত পোস্ট নিজে করেননি বলেই জানিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, ২০১০ সাল থেকে তার অ্যাকাউন্ট খোলা হলেও তিনি সক্রিয় ছিলেন না, ২০১৭ সাল থেকে তিনি পুনরায় সক্রিয় হন।

২) সায়নী ঘোষের দ্বিতীয় কাণ্ড হল পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের একটি জনসভায় মানস ভূঁইয়া এবং তার মন্তব্য। ২৯ মার্চের সেই সভায় মানস ভূঁইয়া মন্তব্য করেন, ‘সায়নী লাগাও’। এর পাল্টা সায়নী বলেন, “লাগাও। ঠিক বলেছে”। যা নিয়ে মিমের বন্যা বয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

৩) ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর শিলিগুড়িতে তৃণমূলের একটি জনসভায় অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করে সায়নীর মন্তব্য ছিল, “জাত গোখরো রয়েছে, জাত গোখরো ঘরে ঘরে ঢুকে যাবে। মিঠুনদাকে আমি বলব, যেকোনো জাত গোখরোর জন্য বাংলার মায়েদের ঘরে ঘরে কার্বলিক অ্যাসিড তৈরি আছে।”

৪) শুভেন্দু অধিকারী কলকাতায় একটি বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করার পর সেখানে তাকে মহিলা পুলিশরা গ্রেফতার করতে এলে তিনি বলেন, ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’। এনিয়ে তৃণমূলের তরফ থেকে চরম কটাক্ষ করা হয়। আর সায়নী এর পাল্টা হিসাবে একটি জনসভায় গান করে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করেন, “ছুঁয়ো না ছুঁয়ো না, দেখো ছুঁয়ো না।”

৫) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘দিদি ও দিদি’ মন্তব্যের পাল্টা দিতে গিয়ে বাঁকুড়ায় আয়োজিত ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারির সভা থেকে সায়নী ঘোষ বলেন, ‘দিদি ও দিদি! কে থাকলো? দিদি থাকলো আর মোদি গেল।’