বাড়িতেই পড়াশুনা, চাষীর ঘরের পাঁচ মেয়েই সরকারি অফিসার, গর্বিত দেশ

Shyamali Das

Updated on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : মেয়ে মানেই বোঝা নয়, এমনটাই প্রমাণ করলেন হনুমানগড়ের এক চাষির ঘরের পাঁচ মেয়ে। আর্থিক অস্বচ্ছলতার মাঝে বড় হয়েও এই পাঁচ মেয়ে এখন সরকারি অফিসার। ওই চাষীর পাঁচ মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ে আগেই সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন, সম্প্রতি বাকি তিনজন রাজস্থান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে সফলতা অর্জন করেছেন। এই পাঁচ মেয়ের জন্য গর্বে বুক ভরে গোটা দেশের।

রাজস্থানের ভইরুসারিতে সহদেব সাহারান নামে এক কৃষকের বাস। তিনি তার বিবাহের পর পাঁচ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। তবে তারা মেয়ে বলে তাদের পড়াশুনো করিয়ে মানুষ করে তোলার জন্য কোনরকম অনিচ্ছা ছিল না ওই কৃষকের। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল আর্থিক স্বচ্ছলতা। যে কারণে তার কন্যা সন্তানেরা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে যাওয়ার পরেই ইতি টানেন।

পঞ্চম শ্রেণীতে স্কুলের গণ্ডিতে ইতি টানলেও ওই পাঁচ মেয়ের অদম্য ইচ্ছে এবং পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করার জন্য বাড়ীতে বসেই পড়াশুনা চলতে থাকে। আর এই বাড়িতে বসে পড়াশোনা চালিয়ে তারা নিজেদের একের পর এক গণ্ডি পার করেন। এরপর ৫ মেয়ের দুজন আগেই সরকারি চাকরি পেতে সমর্থ হন এবং বাকি তিনজন ২০১৮ সালের RAS পরীক্ষায় বসেন। সেই পরীক্ষার ফল সম্প্রতি বের হতে দেখা যায় একসাথে তিনজনই সফলতা অর্জন করেছেন। এদের মধ্যে একজন আবার ঝুনঝুনু জেলার বিডিও।

রাজস্থান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে সম্প্রতি ওই কৃষকের যে তিন কন্যা সন্তান সম্প্রতি নিজেদের যোগ্যতা অর্জন করে মুখ উজ্জ্বল করেছেন তারা হলেন অংশু, রীতু ও সুমন। মঙ্গলবার তাদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন ছিল। সেখানেও তারা যোগ্যতা অর্জন করেন এবং তিনজনই সরকারি অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হন।

পাঁচ কন্যাসন্তানের পাঁচজনই সরকারি অফিসার হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার পর স্বাভাবিকভাবেই গর্বে বুক ভরে যাচ্ছে দীন দরিদ্র ওই চাষীর। তিনি জানিয়েছেন, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে মেয়েদের বেশিদিন স্কুলে পাঠাতে পারিনি। তবে বাড়িতে পড়া শুরু চালানোর ক্ষেত্রেও কোনরকম বাঁধা দিই নি। আর তারই ফলস্বরূপ আজ এই সফলতা।