Mount Kailash: বিজ্ঞানীরাও কিনারা করতে পারেন নি! কৈলাস পর্বতের ৫ রহস্য আজও রয়ে গেছে অজানা

Prosun Kanti Das

Updated on:

5 mysteries of Mount Kailash remain unknown even today: হিন্দু ধর্মে বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে দেবাদিদেব মহাদেবের। পুরান অনুসারে বিশ্বাস করা হয় কৈলাস পর্বতেই বাস রয়েছে বাবা ভোলেনাথের। সম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই কৈলাস পর্বতের একটি ভিডিও। আর সেই ভিডিও ঘিরেই মানুষের মনে দানা বেঁধেছে কৈলাস পর্বতের ৫ অজানা রহস্যের (Mount Kailash)। যে রহস্যের আজও সমাধান করতে পারেনি বিজ্ঞানীরা। কি সেই ৫ অজানা রহস্য?

কৈলাস পর্বতের সৃষ্টি

পৃথিবীর কেন্দ্রস্থান বলা হয় কৈলাস পর্বতকে। যা পৃথিবীর উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরুর মাঝে অবস্থিত হিমালয় পর্বতের মধ্যভাগে সৃষ্ট। যা পিরামিড আকৃতির। যে পর্বতের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে হিন্দুসহ বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ধর্মেও। কিন্তু রহস্যের বিষয় এই পর্বতের পাদদেশে আর কোনো পর্বতের সৃষ্টি হয়নি (Mount Kailash)। কিন্তু প্রাকৃতিক সৃষ্টি কেন এই ধরনের? তার সমাধান আজও করতে পারেন নি বিজ্ঞানীরা।

পর্বতে অজানা ৭ আলোর ছটা

কৈলাস পর্বতের আরো এক রহস্যময় ঘটনা হলো ৭ আলোর ছটা। এই পর্বত ভ্রমণে যাওয়া অনেক ব্যক্তির মুখেই এই শোনা গিয়েছে, সূর্যাস্তের পর রাত্রিবেলায় এই পর্বতে পরিলক্ষিত হয় ৭ আলোর ছটা। যা পর্বতের সমস্ত অংশকে স্পষ্ট করে দেয়। এই আলো এতটাই উজ্জ্বল ক্ষমতাযুক্ত যে পর্বতের সব কিছুই স্পষ্ট ভাবে পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু এই আলোর উৎস কোথায়? সেই রহস্যের উদ্ঘাটন আজও অধরা রয়ে গিয়েছে। তবে অনেকের ধারণা এই আলো চুম্বকীয় শক্তি থেকে নির্গত হতে পারে।

রহস্যময় হ্রদের সৃষ্টি

দেবাদিদেবী মহাদেবের পর্বতের আরো একটি রহস্যময় সৃষ্টি হল দুটি হ্রদ। একটি মানস সরোবর এবং অপরটি রাক্ষস তাল। স্বস্তিক চিহ্নের মতো দেখতে এই দুটি রহস্যময়ী হ্রদ। যার বিশেষ রহস্যের বিষয় হল দুটি হ্রদ একে অপরের থেকে আলাদা। মানস সরোবরের হ্রদ যেমন বিশ্বের উচ্চতম মিষ্টি জলের হ্রদ তেমনি অপরদিকে রাক্ষস তাল হ্রদ বিশ্বের উচ্চতম নোনতা জলের হ্রদ। মানস সরোবরে জল যতটাই শান্ত রাক্ষস তাল হ্রদের জল ততটাই অশান্ত। কিন্তু কিভাবে সৃষ্টি এই হ্রদের? মানুষ সৃষ্ট নাকি প্রকৃতি সৃষ্ট যা আজও রহস্যের চাদরে আবৃত।

ওম ও ডামরুর আওয়াজ

আরও পড়ুন 👉 Mount Adi Kailash: দুর্গম রুট অতীত! এবার গাড়ি চড়েই হবে কৈলাশ দর্শন

কৈলাস পর্বতে (Mount Kailash) গেলেই কর্ণে ভেসে আসে পর্বত ও মানস সরোবর থেকে ডামরুর আওয়াজ। তার সাথে শুনতে পাওয়া যায় ওম ধ্বনি। যা নিরন্তর শুনতে পাওয়া যায়। কিন্তু এই ধ্বনি বা এই আওয়াজ এই পর্ব থেকে কিভাবে আসছে তা নিরন্তর শুনেও রহস্যের সমাধান করতে পারেন নি বিজ্ঞানীরা। খুঁজে পাইনি কোনো কিনারা। তবে অনেকের মন্তব্য বরফ গলে পড়ার আওয়াজে এই ধরনের শব্দ শোনা যায়।

পর্বতের অতি প্রাকৃত শক্তি

শিব পার্বতীর দর্শনে বহু ভক্ত কৈলাস পর্বতে গিয়েছেন। কিন্তু পর্বত শুধু চোখে দেখেই মনের মনিকোঠায় রেখে দিয়েছেন। আজও কারোর পক্ষে সম্ভব হয়নি সেই কৈলাস পর্বতে ওঠার। কিন্ত কেন? এই রহস্যের সমাধান করতে বহুবার চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সেই রহস্যের উদঘাটনে তারা ব্যর্থ। মনে করা হয় এই কৈলাস পর্বতকে ঘিরে রয়েছে এক সুপারন্যাচারাল অর্থাৎ অতি প্রাকৃত শক্তি।