চালু হলো আন্তঃজেলা ট্রেন পরিষেবা, রইলো রুট ও সময়সূচি

অমরনাথ দত্ত ও হিমাদ্রি মণ্ডল : দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে অবশেষে প্রায় নয় মাস পর বুধবার থেকে পুনরায় চালু হলো আন্তঃজেলা ট্রেন পরিষেবা। আর এই আন্তঃজেলা ট্রেন পরিষেবা চালু হতেই বেজায় খুশি জেলার বাসিন্দা।

রেলের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে রাজ্যজুড়ে ২৭ জোড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেন এবং লোকাল ট্রেন চলাচল করবে বিভিন্ন জেলার মধ্যে। প্রাথমিকভাবে হাওড়া ডিভিশনে ১৫ জোড়া, আসানসোল ডিভিশনে ১১ জোড়া এবং মালদা ডিভিশন ১ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু করলো। রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আগামী দিন কয়েকের মধ্যেই এই ট্রেনের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে।

আর এই সকল ট্রেনগুলির মধ্যে বর্ধমান থেকে রামপুরহাট শাখায় রয়েছে ৮টি, রামপুরহাট থেকে গুমানি শাখায় রয়েছে ৮টি, রামপুরহাট থেকে দুমকা জেসিডি শাখায় রয়েছে ২টি, কাটোয়া থেকে আজিমগঞ্জ শাখায় রয়েছে ৮টি, আজিমগঞ্জ থেকে রামপুরহাট শাখায় রয়েছে ৪টি, বর্ধমান থেকে আসানসোল শাখায় রয়েছে ৮টি, অন্ডাল থেকে সাঁইথিয়া ৪টি, আসানসোল থেকে ধানবাদ ৪টি, আসানসোল থেকে জেসিডি ঝাঁঝা শাখায় ৪টি, অন্ডাল থেকে জেসিডি ২টি, মালদা থেকে বারহাওড়া ২টি ট্রেন আপাতত চলাচল করবে।

রুট এবং টাইমটেবিল

আর এই দীর্ঘদিন পর ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন জেলার বাসিন্দারা। তাদের বক্তব্য, “গণপরিবহনের মূল মেরুদন্ড হল ট্রেন পরিষেবা। আর তা এতদিন ব্যাহত থাকায় জেলার বাসিন্দাদের অজস্র কষ্ট করে যাতায়াত করতে হয়েছে। পাশাপাশি ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকায় বহু মানুষ রুজি-রোজগার হারিয়েছিল।”

অন্যদিকে বোলপুর স্টেশনে বুধবার ট্রেন পরিষেবা চালু হতেই বোলপুরের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদস্যরা ফুলের মালা দিয়ে ট্রেনকে বরণ করে নেয়। পাশাপাশি তারা দেশের মানুষকে দেশের সম্পদ রক্ষা করার বার্তা দেন। সিউড়ি স্টেশনে এদিন যাত্রীসংখ্যা হাতে গোনা থাকলেও তবে ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা ছিল যথেষ্ট।

অন্যদিকে ট্রেন পরিষেবা চালু হলেও কোভিড স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে কোথাও কোনো খামতি রাখতে চাইছে না রেল। স্টেশন থেকে ট্রেন সমস্ত জায়গায় যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে। স্টেশনে কোন যাত্রীর প্রবেশের আগেই মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে রেল পুলিশের তরফ থেকে। রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কোন যাত্রীর মধ্যে কোনরকম উপসর্গের দেখা মিললেই তাকে ট্রেন তো দূরের কথা প্ল্যাটফর্মেও প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। স্টেশনের মধ্যেই রয়েছে আইসোলেশন রুম, যেখানে ওই যাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হবে।