২রা নভেম্বর থেকে রাজ্যে খুলছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, দেখে নিন UGC-র ৭টি গাইডলাইন

নিজস্ব প্রতিবেদন : কবে থেকে খোলা হবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এনিয়ে কলেজ ও উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুলায় বৈঠকে করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। করোনাকালে সব রকম স্বাস্থ্যবিধি ও নিষেধাজ্ঞা মেনে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন স্বাভাবিক নিয়মে চালানোটাই বড় চ্যালেঞ্জের। তবুও রবিবার উপাচার্যদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক শেষে ঠিক হল ২রা নভেম্বর থেকে রাজ্যের স্নাতক স্তরে ক্লাস শুরু হবে।

করোনাকালে গত মার্চ মাস থেকেই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ। সময়ের সাথে সাথে করোনা সতর্কতা ও লকডাউনের নিয়মাবলীতে শিথিলতা এসেছে। দেশের ১০টি রাজ্যে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের নিয়ে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস শুরু হয়েছে।

কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক আগেই জানিয়েছেন, নভেম্বর মাস থেকেই কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন শুরু হবে সেই অবস্থানই রাখলো UGC। পড়ুয়াদের জন্য নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করলো UGC। বর্তমান পরিস্থিতে ক্লাস শুরু হওয়ার পরে কী ভাবে কম সময়ের মধ্যে সিলেবাস শেষ করা সম্ভব তার জন্য একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে UGC। যার মধ্যে ৭ দফা নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।

১) ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের পড়ুয়াদের পঠন পাঠনের ক্ষতি কমানোর জন্য যদি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় চায় তাহলে সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাস নিতে পারে অর্থাৎ ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানোর অধিকার রয়েছে। এছাড়া আগামী দিনে ছুটির সংখ্যাও কমাতে পারে। তাহলে এই ক’দিনে যা ক্ষতি হয়েছে তা অনেকটাই পূরণ করা যাবে। এই নির্দেশিকা মত রাজ্যের কলেজগুলিতেও ৬ দিন ক্লাস হবে।

২) কলেজগুলিতে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির প্রক্রিয়া অক্টোবরের মধ্যেই শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষা দিয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে।

৩) ১ লা নভেম্বর থেকেই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রথম বর্ষ বা প্রথম সেমেস্টারের ক্লাস শুরু করতে বলা হলেও রাজ্যে শুরু হচ্ছে ২ তারিখ থেকে। এক্ষেত্রে UGC জানিয়েছে, কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যদি ফলপ্রকাশ বা ভর্তি প্রক্রিয়ায় কিছুটা দেরি হয় তাহলে ক্লাস ১৮ নভেম্বরের পরে শুরু হতে পারে। সেক্ষেত্রে এই সময়ের মধ্যে অনলাইনে পঠন-পাঠনের কাজ চালাতে হবে।

৪) কলেজগুলিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে অক্টোবরের মধ্যেই। অন্যদিকে পরীক্ষা নিয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে নভেম্বরের মধ্যে। প্রয়োজনে প্রভিশনাল অ্যাডমিশন করা যেতে পারে। অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নথি যাচাই করে দেখতে পারে।

৫) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বেঁধে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ক্লাস হবে। তবে পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইলে কিছু নিয়মে বদল ঘটাতে পারে। তবে সেই বদলের আগে UGC-কে জানাতে হবে এবং অনুমতি নিতে হবে।

৬) করোনাকালে বহু মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। UGC-এর নির্দেশ যেসকল পড়ুয়াদের আবেদন বাতিল হবে তাদের আবেদনের সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দিতে হবে কলেজ কর্তৃপক্ষকে।

৭) পড়ুয়াদের ভর্তি নিয়ে কোনও সমস্যা দেখা দিলে ভর্তি প্রক্রিয়াতেও প্রয়োজন অনুযায়ী UGC-র অনুমোদন সাপেক্ষে নিয়মে বদল ঘটানো যেতে পারে।