BLDC Fan: সাধারণ ফ্যানের সঙ্গে BLDC ফ্যানের পার্থক্য কোথায়! কেন তরতড়িয়ে কমে যায় ইলেকট্রিক বিল

Prosun Kanti Das

Published on:

What is the difference between a BLDC fan and a normal fan: এবারের তীব্র গরমে মানুষের পরিস্থিতি সত্যি বড় নাজেহাল। সত্যি নিঃশ্বাস পেতে এসির পাশাপাশি জোরকদমে ব্যবহার করা হচ্ছে ফ্যানের। স্বাভাবিকভাবে এতে ফ্যানের ওপরে চাপ পড়ছে। কিন্তু এই গরমে কি ফ্যান থেকে সেই কুলিং পাচ্ছেন আপনারা? সম্প্রতি কিন্তু বাজারে চলে এসেছে বিএলডিসি ফ্যান (BLDC Fan)। এই ধরনের ফ্যান যেমন ভালো কুলিং দিতে পারে, তেমন আপনার বিদ্যুতের বিল অনেকটাই কম হবে।

সাধারণত সিলিং ফ্যান ব্রাশলেস ডিসি মোটর দিয়ে তৈরি হয়। ডিসি মোটর এবং বিএলডিসি মোটরের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। এই ধরনের উন্নত মানের সিলিং ফ্যানে থাকে স্থায়ী ম্যাগনেট যার ফলে খুব বেশি হিট এর থেকে তৈরি হয় না। অন্যদিকে সাধারণ সিলিং ফ্যানে ফ্রিকশন হওয়ার জন্য প্রচন্ড পরিমাণে হিট তৈরি হয়। সেই কারণে বিএলডিসি ফ্যানের উপকারিতা অনেকটাই বেশি (BLDC Fan)।

বেশিরভাগ মানুষের ঘরেই ব্যবহার করা হয় ডিসি মোটরের ফ্যান যা গড়ে বিদ্যুৎ খরচ করে ৭০-৮০ ওয়াট। কিন্তু অবাক হয়ে যাবেন জানলে যে বিএলডিসি ফ্যান মাত্র ৩০ ওয়াট পর্যন্ত শক্তি খরচ করে। এতে বিদ্যুৎ অনেকটাই সাশ্রয় হচ্ছে যার ফলে বিল আসবে অনেক কম। আপনি মাসের শেষে ইলেকট্রিক বিল দেখলে সত্যিই চমকে যাবেন। বিএলডিসি ফ্যান ব্যবহার করলে আপনি বছরে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারবেন (BLDC Fan)।

যে কোন সাধারণ ফ্যান ১ স্পিডে চালালে খরচ করে প্রায় ১৮ ওয়াট শক্তি কিন্তু বিএলডিসি ফ্যান ৮ ওয়াট শক্তি খরচ করে। পাশাপাশি আপনারা যদি যেকোনো সাধারণ ফ্যান ৫ স্পিডে চালান তাহলে ৭৮ ওয়াট শক্তি খরচ করে থাকে। আবার বিএলডিসি ফ্যান ৩০ ওয়াট পর্যন্ত শক্তি খরচ করে। এই গরমে প্রত্যেকের বাড়িতে টানা একটানা ফ্যান চলে এবং মাসের শেষে বিদ্যুতের বিল সবার কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দেয়। এই চিন্তার হাত থেকে বাঁচতে সব থেকে বড় বিকল্প হল বিএলডিসি ফ্যান।

আরও পড়ুন ? Sprinkler Fan: দামেও যেমন, কাজেও তেমন! গরম থেকে বাঁচতে ব্যবহার করুন এই বিশেষ ফ্যান

ভাববেন না শুধুমাত্র এতে বিদ্যুৎ খরচ কম হয় পাশাপাশি বিএলডিসি ফ্যানে আওয়াজও কম হয়। যেকোনো সাধারণ ফ্যানে এর থেকে অনেক বেশি আওয়াজ হয়। যেহেতু বিএলডিসি ফ্যানে (Benefits of BLDC Fan) ব্রাশলেস প্রযুক্তি থাকে তাই আবার যেমন কম হয় তেমনি কুলিং করার ক্ষমতা অনেক বেশি।

গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় যে, সাধারণ ফ্যানে বছরে ১.৬ টন কার্বন তৈরি হয়। পাশাপাশি বিএলডিসি ফ্যান ৬০ শতাংশ কার্বন এমিশন কমিয়ে দেয়। বিদ্যুতের খরচ বাঁচানোর জন্য এবং ভালো কুলিং পাওয়ার জন্য অনেকেই বর্তমানে বিএলডিসি ফ্যান ব্যবহার করে থাকছেন। এতে আপনারা পেয়ে যাবেন উন্নত মানের বহু প্রযুক্তি যেমন, পাওয়ার সেভিং মোড যা অন করে বিদ্যুৎ খরচ কমানো যায়, পাশাপাশি রিমোট কন্ট্রোলের সুবিধাও থাকে।