নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের পাখির চোখ ছিল নন্দীগ্রাম। কারণ এই বিধানসভা কেন্দ্রে লড়াই ছিল দুই হেভিওয়েট নেতা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে। যদিও সেই লড়াইয়ে জয় ছিনিয়ে নেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার হারের মোক্ষম জবাব হিসেবে মন্ত্রিত্ব ভাগকেই হাতিয়ার করলেন।
অবিভক্ত মেদিনীপুরের ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারি বারংবার ভোটের প্রচারে গিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন ব্রাত্য মেদিনীপুর। আর এই অভিযোগেরই মোক্ষম জবাব দিতে দেখা গেল নবনির্মিত মন্ত্রিসভায়। এই মন্ত্রিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন জেলায় ব্রাত্য নয় এমনটা প্রমাণ করার পাশাপাশি রেকর্ড গড়ে অবিভক্ত মেদিনীপুর থেকে ৭ জন বিধায়ককে মন্ত্রিসভায় স্থান দিলেন। শুধু স্থান দেওয়া নয় তাদের ওপর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সঁপে দিলেন।
বামফ্রন্ট আমলে এই অবিভক্ত মেদিনীপুর থেকে মোট ৬ জন মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছিলেন। আর এবার সেই সংখ্যাকে টপকে গিয়ে অবিভক্ত মেদিনীপুর অর্থাৎ পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম থেকে মোট ৭ জন বিধায়ক মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন।
ঝাড়গ্রাম থেকে মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন বীরবাহা হাঁসদা, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে সৌমেন মহাপাত্র ও অখিল গিরি এবং পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে মানস ভুঁইঞা, হুমায়ুন কবীর, শ্রীকান্ত মাহাতো ও শিউলি সাহা। আর এই সাতজনের মধ্যে পূর্ণ মন্ত্রী হলেন মানস ভুঁইয়া এবং সৌমেন মহাপাত্র। অন্যদিকে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন হুমায়ুন কবির এবং অখিল গিরি।
[aaroporuntag]
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এযাবত মেদিনীপুরের রাজনৈতিক আঙিনায় অধিকারী পরিবার একচ্ছত্রভাবে নিজেদের অধিকার কায়েম রেখেছিল। যে কারণে অধিকারী পরিবারের উপরেই অনেক সিদ্ধান্ত নির্ভর করতো। আর সেই জায়গায় এবার শুভেন্দু অধিকারী অধিকারী পরিবারের অধিকাংশ নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তাদের মোক্ষম জবাবের পথ হিসাবেই এমন পথ বেছে নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।