৭টি উপসর্গ নজরে আসছে নতুন করোনা স্ট্রেনে আক্রান্তদের শরীরে

Shyamali Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা মহামারীর ত্রাস থেকে বিশ্ব এখনও মুক্ত নয়। তারমধ্যেই কোভিড-১৯ নতুন করে জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে ইংল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়ছে। ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হানকক জানিয়েছেন, নতুন ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এর ভ্যাকসিন না বেরোনো পর্যন্ত ক্রিস্টমাসের সময় কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ শুরু করতে হবে। এই নতুন করোনা ভাইরাসের নাম ‘VUI 202012/01’। এই ভাইরাসে প্রোটিনের স্পাইক বা কাঁটা আছে, যার ফলে ভাইরাস দ্রুত মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।

Advertisements

Advertisements

বিপজ্জনক এই ভাইরাস চিনের ইউয়ান প্রদেশের মতো করে আবার বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লে পৃথিবী জুড়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের করোনা মহামারী শুরু হতে পারে। কোভিড-১৯ ভাইরাসের টিকার প্রয়োগ যখন দোড়গড়ায় তখন জিনগত পরিবর্তন ঘটানো এই কোভিড ভাইরাস নতুন করে গবেষকদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। যদিও এই নতুন ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তনের উৎস সন্ধানে নেমে পড়েছে বিজ্ঞানীরা। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের ৭টি নতুন উপসর্গের সন্ধান পেয়েছে বিজ্ঞানীরা।

Advertisements

করোনা ভাইরাসের মূল উপসর্গ ছিল জ্বর, শুকনো কাশি, সেইসঙ্গে স্বাদ ও ঘ্রাণ হারানো। এবার এই নতুন করোনা ভাইরাসে আরও কিছু উপসর্গ যোগ হয়েছে।

যে নতুন উপসর্গগুলি যোগ হয়েছে সেগুলি হলো ক্লান্তি, ক্ষিধে না থাকা, মাথা ব্যাথা, ডায়রিয়া, মানসিক কনফিউসন, মাসল পেইন (পেশীর যন্ত্রণা), চামড়ায় সমস্যা।

ইংল্যান্ডের দক্ষিণ পূর্ব এলাকায় জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়া এই নতুন ভাইরাস সম্বন্ধে এখনও বিশেষ কিছু জানা না গেলেও প্রোটিনের স্পাইক চেহারার কারণে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। করোনা ভাইরাসে ইতিমধ্যেই ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃতের সংখ্যা ইংল্যান্ডের।২,১৪৯,৫০০ আক্রন্তের মধ্যে মারা গেছে ৬৯,০৫১।

ইংল্যান্ডের কিংস কলেজের গবেষকরা জানিয়েছেন, পুরনো কোভিড-১৯ উপসর্গ দেখা দিলেও কোনরকম ঝুঁকি না নিয়ে আইসোলশনে যেতে হবে এবং পরীক্ষা করাতে হবে।

ইংল্যান্ডের নতুন এই করোনা ভাইরাসের দিকে নজর রাখছে ভারত সরকারও। যাতে এই নতুন করোনা ভাইরাস এদেশে না আসতে পারে বা ছড়িয়ে পড়তে পারে। তার জন্য আগাম সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারত সরকার।

Advertisements