7 teachers were Sacked from their jobs from the same school by a court verdict: শিক্ষাক্ষেত্রে এক বিরাট চমক আনলো কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলগুলোর ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে। প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর নিয়োগ বাতিল করা হলো (Teachers Sacked from Jobs)। টিচার এবং স্টাফেদের অভাবে এমনিতেই সমস্যায় ভুগছিল রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল। তার ওপর এই নিয়োগ বাতিলের ঘোষণা যেন আরও সমস্যা সৃষ্টি করল। এই বাতিল প্রক্রিয়ার ফলে প্রভাব পড়বে ভোটেও। কারণ ভোটকর্মীদের একটা অংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা।
রাজ্যের প্রচন্ড গরমের জন্য বর্তমানে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনুমোদিত হাজার দশেক স্কুলে চলছে গরমের ছুটি কিন্তু স্কুল খুললে কী হবে? প্রত্যেকটি স্কুল থেকেই কোথাও দুজন কিংবা ছয় জন অথবা সাত জন এরকম ভাবে চাকরি গিয়েছে (Teachers Sacked from Jobs) বিভিন্ন শিক্ষক শিক্ষিকার। এছাড়া বিভিন্ন স্কুলগুলোতে একমাত্র গ্রুপ সি বা গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরিও এখন প্রশ্নের মুখে। প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকার এই পরিস্থিতিতে কি করনীয়? কিভাবে সমাধান হবে এই বিরাট সমস্যার?
মালদহের মোথাবাড়ি পঞ্চানন্দপুর সুকিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফা কামাল জানিয়েছেন যে, তাদের স্কুলে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মোট পড়ুয়া সংখ্যা ২,৮০০ জন। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সোমবার চাকরি গিয়েছে মোট সাত জন শিক্ষকের। তিনি আরো বলেছেন যে, ‘একাদশ-দ্বাদশে এডুকেশন ও পলিটিক্যাল সায়েন্সে এবং মাধ্যমিকে বিজ্ঞানের আর কোনও শিক্ষক থাকলেন না। গ্রুপ ডির তিনটে পোস্টের মধ্যে একজনের চাকরি চলে গেছে (Teachers Sacked from Jobs) স্কুল এখন সত্যিই অচলের মুখে।
তালিকাতে আছে আরো বিভিন্ন স্কুল যেমন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির নিশ্চিন্তপুর রাখাল দাস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিয়কুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, এই স্কুলের মোট চার জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে কোনদিনও কোন অভিযোগ ওঠেনি। এই স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। উচ্চ মাধ্যমিকে নিউট্রিশন, ফিজ়িক্স এবং বায়োলজির মাত্র একজন করে শিক্ষক ছিলেন তাও এখন শূন্য। যারা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন (Teachers Sacked from Jobs) তাদের অনেকেরই ভোটের ডিউটি ছিল এমনকি তাদের প্রশিক্ষণ পর্যন্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন ? 2016 SSC Scam: এক-দু’রকম নয়, এই ১২ রকমভাবে হয়েছিল নিয়োগে বেনিয়ম! দেখিয়ে দিল আদালত
আইনি মতে চাকরি চলে যাওয়ার পর তাদের আর কোনোভাবেই নির্বাচনের ডিউটিতে রাখা যাবেনা। নির্বাচন কমিশনকে এবার বিকল্প পথ খুঁজতে হবে। রাজ্যের দ্বিতীয় দফার ভোট হলো আগামী ২৬ এপ্রিল। কিন্তু এই তিন দিনের মধ্যে বিকল্প কোন পথ খুঁজে পাওয়া সত্যি সমস্যার। নির্বাচনী এক আধিকারিক বলেছেন যে, ‘ভোটকর্মীদের কেউ আসতে না পারলে বিকল্প ব্যবস্থা থাকে। সে জন্য ২০-২৫ শতাংশ রিজ়ার্ভ ভোটকর্মী থাকেন। যারা রিজার্ভ থাকেন তাদের দিয়েই ভোট করানো হবে। তবে এই বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নিবেন জেলাশাসকরা।
তিনি আরো বলেছেন যে, রিজ়ার্ভ ফোর্সে যেসব ভোটকর্মীরা থাকেন তাদের এই ব্যাপারে ডিসি অফিসে প্রয়োজনীয় চিঠি চলে গিয়েছে। যারা ভোটের ডিউটি ভাগের দিন অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের রিপ্লেস করা হবে রিজ়ার্ভ কর্মী দিয়ে।