নিজস্ব প্রতিবেদন : রেল পরিষেবা দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিষেবা। যাত্রী পরিষেবার পাশাপাশি পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও রেল পরিষেবার ভূমিকা কখনোই তুচ্ছ করা যায় না। বরং বলা যেতে পারে রেল পরিষেবা না থাকলে জনজীবন স্তব্ধ হয়ে যাবে। আর এই রেল পরিষেকাকে আরও উন্নত করতে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ৮টি নতুন রেললাইন (New Rail Line) প্রজেক্টের অনুমোদন দিল।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরহিত্যে নতুন এই আটটি রেললাইন প্রজেক্ট বাস্তবায়িত করার অনুমোদন দিয়েছে। এর জন্য প্রাথমিকভাবে ২৪ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। নতুন যে আটটি রেললাইন প্রজেক্ট তৈরি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তা সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ না পেলেও পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা এই আটটি নতুন রেল প্রজেক্টের ফলে অনেকটাই উপকৃত হবেন।
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে নতুন যে রেল প্রজেক্টগুলি তৈরি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তার ফলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে বলেও দাবি করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এর ফলে তিন কোটি কর্ম দিবস তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রকল্পের কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন এবং এই প্রকল্প ২০৩০-৩১ সালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
১) ৭৩.৬২ কিলোমিটার একটি নতুন রেললাইন তৈরি হবে ওড়িশার রায়গরা জেলায় গুনুপুর থেকে থেরুবালি পর্যন্ত।
২) উড়িষ্যার কালাহান্ডি ও নবরংপুর জেলায় জুনাগড় থেকে নবরংপুর পর্যন্ত ১১৬.২১ কিলোমিটার নতুন রেললাইন তৈরি করা হবে।
৩) উড়িষ্যার মালকানগিরি, অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী এবং তেলঙ্গানার ভদ্রদি কোঠাগুডেম জেলায় মালকানগিরি থেকে পান্ডুরংপুরম পর্যন্ত তৈরি হবে ১৭৩.৬১ কিলোমিটার নতুন রেলপথ। এটি যাবে ভদ্রচুলম হয়ে।
৪) ওড়িশার কেওনঝড় এবং ময়ূরভঞ্জ জেলার বাদামপাহাড়-কেন্দুঝারগড় পর্যন্ত ৮২.০৬ কিমি নতুন রেল লাইন তৈরি হবে।
৫) ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাংরিপোসি-গোরুমহিসানি পর্যন্ত তৈরি হবে ৮৫.৬ কিমি নতুন রেল লাইন।
৬) পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম এবং ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বুরমুরা-চাকুলিয়া পর্যন্ত ৫৯.৯৫ কিমি রেল লাইন তৈরি হবে।
৭) বিহারে ভাগলপুর জেলার বিক্রমশীলা-কাটারিয়া পর্যন্ত ২৬.২৩ কিমি নতুন রেল লাইন তৈরি হবে।
৮) মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ জেলার জালনা-জলগাঁও পর্যন্ত ১৭৪ কিমি নতুন রেল লাইন তৈরি হবে। এর ফলে সহজেই যাওয়া যাবে অজন্তা গুহা।