১ কেজির দাম ৮০০ টাকা, ঢ্যাঁড়স চাষ করে কয়েক লাখপতি যুবক

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : ১ কেজি ঢ্যাঁড়সের দাম ৮০০ টাকা। আর এই নতুন প্রজাতির ঢ্যাঁড়স চাষ করেই লাখপতি এক যুবক। তবে এই ঢ্যাঁড়স সেই ঢ্যাঁড়স নয়, যা আমরা সাধারণত বাজার থেকে কিনে রান্না করে থাকি। এই গাছের রং সবুজের বদলে লাল।

লাল রঙের এমন ঢেঁড়স চাষ করে রাতারাতি তাক লাগিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের চাষী মিসরিলাল রাজপুত। তবে ওই চাষির চাষ করা ঢেঁড়সে কি এমন আছে যাতে এর এত দাম। কারণ আমরা বাজার থেকে যে ঢ্যাঁড়স কিনে নিয়ে আসি, তা অনেক দামে কম। অন্যদিকে এই চাষী এই ধরনের ঢেঁড়স মাত্র ১ কুইন্টাল চাষ করতে পারলেই অন্ততপক্ষে লাখের কাছাকাছি উপার্জন করতে পারবেন।

ওই চাষির বাড়ি মধ্যপ্রদেশের ভূপালের খাজুরি কালান। বাড়ির কাছেই রয়েছে তাদের কয়েক বিঘা জমি। সেখানে খেত খামারী করেই তারা জীবন-যাপন করেন। চাষ-বাসের ক্ষেত্রে অভিনবত্ব আনার জন্যই ওই চাষী এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন। নতুনত্ব আনতে নতুন ধরনের এই লাল ঢেঁড়শের চাষ করার প্রতি ঝোঁকেন তিনি।

তবে এই লাল ঢ্যাঁড়সের দাম এত বেশি কেন? এই প্রসঙ্গে ওই চাষী জানিয়েছেন, “আমরা সাধারণত সবুজ ঢ্যাঁড়স দেখতে অভ্যস্ত। লাল ঢেঁড়স দেখা যায় না বললেই চলে। কিন্তু এর পুষ্টিগুণ সবুজ ঢ্যাঁড়সের তুলনায় অনেক বেশি। যাদের হার্টের অসুখ রয়েছে কিংবা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার সমস্যা আছে, তাদের জন্য অব্যর্থ এই লাল ঢ্যাঁড়স।”

নতুন প্রজাতির এই ঢ্যাঁড়স চাষ করার জন্য মিসরিলাল বারানসি এগ্রিকালচার রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে ১ কেজি বীজ কিনে এনেছিলেন। জুলাই মাসের প্রথম দিকে সেই বীজ রোপণ করা হয়। এরপর ৪০ দিনের মাথায় লক্ষ্য করা যায় সেই সকল ঢেঁড়স বাড়তে শুরু করে। অন্যদিকে ওই চাষী এটাও দাবি করেছেন, তিনি এই ঢ্যাঁড়স চাষ করার জন্য কোন রকম রাসায়নিক সার ব্যবহার করেননি।

মিসরিলাল দাবি করেছেন, তিনি যে পদ্ধতিতে এই লাল ঢেঁড়স চাষ করেছেন সেই পদ্ধতিতে কোন চাষী যদি চাষ করে থাকেন তাহলে এক একর জমিতে সবচেয়ে কম ৪০ থেকে ৫০ পর্যন্ত এই ঢ্যাঁড়স উৎপাদন করা সম্ভব। আর সর্বোচ্চ ৭০ থেকে ৮০ কুইন্টাল পর্যন্ত উৎপাদিত হতে পারে। বিভিন্ন শপিংমল এবং বড়বাজারে এই ধরনের ঢেঁড়স ২৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম বিক্রি হয়ে থাকে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়।