নিজস্ব প্রতিবেদন : লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) নিয়ে এবার বাংলার ঘরে ঘরে মিলল স্বস্তি। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন ঘরের লক্ষ্মীরা। এমন হাঁফ ছেড়ে বাঁচার পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। আর সেই সকল কারণ থেকে নিশ্চিত মুক্তি মিলল। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক মাসেই টাকা দেওয়া হয়। তবে এই মাসে কেন এমন প্রশ্ন উঠছে সেটাই বড় কথা।
আসলে আগস্ট মাসে রাজ্যে ঘটে যাওয়া আরজি কর কান্ডের পর নানান পরিবর্তন এসেছে। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ রাজ্যের কোনায় কোনায় পৌঁছে যাওয়ার পাশাপাশি পৌঁছে গিয়েছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায়। এসবের মধ্যেই শুরু হয় লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা প্রদান নিয়ে নানান জল্পনা। অনেককেই দাবি করতে দেখা যাচ্ছিল এই প্রকল্পের টাকা প্রদান বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
এই সকল দাবি দাওয়ার মধ্যেই সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে না দেখে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়তে শুরু করেছিল গ্রামগঞ্জের লক্ষ্মীদের মধ্যে। তাদের মধ্যে চিন্তা শুরু হয়েছিল, সত্যিই কি তাহলে রাজ্য সরকার টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিল! তবে শেষমেষ দেরীতে হলেও টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকতেই স্বস্তি ফেরে ওই সকল মহিলাদের মধ্যে।
আরও পড়ুন : UPI New Rules: UPI অ্যাপে টাকা পাঠানোর নিয়মে এলো বদল, এবার আরও বেশি মিলবে সুবিধা
প্রত্যেক মাসেই দেখা যায় লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে একেবারে মাসের শুরুর দিক থেকেই প্রদান করা শুরু হয়। কেউ মাসের ২ তারিখ তো আবার কেউ ৬-৭ তারিখের মধ্যেই টাকা পেয়ে যান। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসে টাকা আসতে অনেকটা দেরি হওয়ার ফলেই চিন্তা বাড়তে থাকে। তবে সরকারি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে সকলেই টাকা পেয়ে গিয়েছেন। সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বর মাসে ৬ তারিখ থেকে অধিকাংশদের টাকা প্রদান শুরু হয়। যে কারণেই কিছুটা হলেও দেরি হয় অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে।
এছাড়াও সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প যেমন চলছে ঠিক সেই রকমই চলবে। এই প্রকল্পে কোনরকম বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না কেউ। এমনকি যারা এই প্রকল্পে এখনো আবেদন করে টাকা পান নি নেই তারাও পুজোর পর থেকে টাকা পেতে শুরু করবেন। কেননা পুজোর পর থেকেই আবেদনপত্র নিয়ে কাজ শুরু করা হবে।