নিজস্ব প্রতিবেদন : বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর কত শুক্রবার থেকে দফায় দফায় বৃষ্টিতে ভিজিয়েছে দক্ষিণবঙ্গকে। শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, পাশাপাশি এই নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টিতে ভিজেছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ দক্ষিণ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গাও। তবে এই নিম্নচাপেই শেষ নয়, কেননা অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা উপকূল এলাকায় মূলত যে সকল ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে এই সকল ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়ার পর স্থলভাগের দিকে ছুটে আসে। এমনিতে মে মাসকে ঘূর্ণিঝড় প্রবণ মাস হিসেবে ধরা হয়। তবে শুধু মে মাস নয়, পাশাপাশি অক্টোবর মাস কেউ ঘূর্ণিঝড় প্রবণ মাস হিসাবে ধরা হয়ে থাকে। সম্প্রতি নিম্নচাপের প্রভাবে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় বিপুল পরিমাণে বৃষ্টির পাশাপাশি এবার অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাবিদদের তরফ থেকে সেপ্টেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড়ের কোনরকম সম্ভাবনা দেখতে না পেলেও সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের পূর্বাভাস দিয়েছিল। সেই পূর্বাভাস মতোই নিম্নচাপের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টির মুখোমুখি হয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ সহ দক্ষিণ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা। এসবের মধ্যেই বাংলাদেশের আবহাওয়া দপ্তর অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে এমন সম্ভাবনার কথা গত শনিবার জানিয়েছেন বাংলাদেশের আবহাওয়া দপ্তরের আবহাওয়াবিদ ডঃ মহঃ বজরুল রশিদ। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত ভারতের আবহাওয়া দপ্তর অথবা আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। যদিও অক্টোবর মাস যেহেতু ঘূর্ণিঝড় প্রবণ মাস তাই বাংলাদেশের আবহাওয়া দপ্তরের এমন আশঙ্কাকে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
অন্যদিকে গত শুক্রবার থেকে নিম্নচাপের প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় যেভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল সেই বৃষ্টি থেকে ধীরে ধীরে মুক্তি মিলছে। সোমবার দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন জেলায় আবহাওয়ার উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সোমবার দুপুরের পর থেকেই বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে। বহু জায়গায় বৃষ্টি সম্পূর্ণ হবে থেমে গিয়েছে। তবে সোমবারও সূর্যের দেখা মেলেনি। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। আসলে যে নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছে সেই নিম্নচাপ খুব ধীর গতিতে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে চলার কারণেই এর প্রভাব এতটা লক্ষ্য করা গিয়েছে। ঘন্টায় মাত্র তিন কিলোমিটার গতি বেগে এই নিম্নচাপ এগিয়ে চলেছে।