Ilish: মোহনায় এলো টন টন ইলিশ, দাম কত চলছে

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রত্যেক বছর ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে বাজারে ইলিশের (Ilish) চাহিদা ব্যাপক থাকে। ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে ইলিশের চাহিদা ব্যাপক থাকার পিছনে রয়েছে রান্না পুজো। ১৭ সেপ্টেম্বর ভাদ্র মাসের শেষ দিন আর তার আগেই ১৬ সেপ্টেম্বর রান্নার কাজ সেরে ফেলেন অনেকেই এবং রান্না পুজোয় মেতে ওঠেন। যে কারণেই এই দিনগুলিতে ইলিশের খোঁজে বাজারে হানা দেন অনেকেই।

Advertisements

সম্প্রতি চাহিদার তুলনায় সঠিক সময়ে মোহনায় সেই ভাবে ইলিশ আসতে পারেনি। কেননা নিম্নচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরেই আবহাওয়ার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যে কারণে জালে ইলিশ ফেলেও ট্রলারগুলি মোহনা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। খাঁড়িতে তারা নিরাপদ জায়গায় নোঙর করেছিল। ধীরে ধীরে আবহাওয়ার উন্নতি হলে তারা মোহনায় আসতে শুরু করে।

Advertisements

তবে এই সকল ট্রলারগুলি প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে ধীরে ধীরে মোহনায় এলেও এবং তাদের প্রত্যেক ট্রলারে ১০ থেকে ২০ ক্যারেট করে ইলিশ সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ থাকলেও অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। যার ফলে মোহনায় টন টন ইলিশ এসে পৌঁছালেও কিন্তু দামের ক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এর কারণ হলো যে সময় ইলিশের চাহিদা থাকে সেই সময় ইলিশ এসে পৌঁছাতে পারেনি আর সেই কারণেই কোল্ড স্টোরেজে থাকা ইলিশ বাজারে বিক্রির জন্য পাঠানো হয়।

Advertisements

আরও পড়ুন : ইলিশ দিতে নারাজ, অথচ ডিমের পর ভারতের কাছে এবার নতুন আবদার বাংলাদেশের

পশ্চিমবঙ্গে যে বিপুল পরিমাণ ইলিশের চাহিদা রয়েছে তার বড় অংশের যোগান দিয়ে থাকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকার মৎস্যজীবীরা। কাকদ্বীপ থেকে শুরু করে ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা, রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমা, সাগর, কুলতলির ঘাটে ঘাটে থাকা সারি দিয়ে ট্রলারে ওঠা ইলিশ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যায়। কিন্তু এই বছর ইলিশের যোগান অন্যান্য বছরের তুলনায় কম রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। মাঝে মাঝে এমন টন টন ইলিশ আসতে দেখা যাচ্ছে।

ইলিশের যোগান কম থাকাই স্বাভাবিকভাবেই দিনের পর দিন বেশি হয়ে চলেছে দাম। উৎসবের মরশুমে আবার এই দাম অনেকটাই বেড়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। একটু বেশি ওজনের ইলিশ অর্থাৎ আড়াই কিলো বা তার বেশি ইলিশ এখন তিন হাজার টাকা কিলো দরেও বিক্রি হচ্ছে। ছোট ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কম দামে। তবে আবার বিভিন্ন বাজারের দেখা যাচ্ছে নিষিদ্ধ খোকা ইলিশ ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পিস হিসাবেও বিক্রি করা হচ্ছে।

Advertisements