নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূম জেলাতে আলাদা করে রেখেছে অজয় নদ। যে অজয় নদ দুই জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে অনেকটাই সুদীর্ঘ করে দিয়েছে। বিশেষ করে বর্ষার সময় যখন জয়দেব কেন্দুলীতে অজয় নদের ওপর থাকা ফেরিঘাট জলের তলায় চলে যায় তখন ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয় দুই জেলার বাসিন্দাদের। তবে এবার এই ঘুরপথের অবসান ঘটতে চলেছে। কেননা খুব তাড়াতাড়ি অজয় নদের উপর নতুন সেতু (Ajay Bridge) খুলে দেওয়া হবে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এবং বীরভূম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা ও বীরভূমের জয়দেবকে এক সূত্রে বেঁধে দেওয়ার জন্য অজয় নদের উপর যে ব্রিজ বা সেতু তৈরি হচ্ছে তার কাজ একেবারেই শেষের মুখে। সামান্য কিছু কাজ এখন বাকি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই সেতুর কাজ শেষ হওয়ার মুখে হওয়ার ফলে এখন দুই জেলার মানুষেরা আশায় রয়েছেন কবে এই সেতুর উদ্বোধন হবে তা নিয়ে।
অজয় নদের দুই তীরে থাকা পশ্চিম বর্ধমানের শিবপুর এবং বীরভূমের জয়দেব কেন্দুলির বাসিন্দাদের বিভিন্ন কাজে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে হয়। এক্ষেত্রে যখন ফেরিঘাট ঠিকঠাক থাকে তখন তাদের খুব একটা অসুবিধা না হলেও বর্ষার জলে যখন ওই ফেরিঘাট তলিয়ে যায় তখন চরম অসুবিধায় পড়তে হয়। বর্ষায় তাদের নৌকার উপর ভরসা করে থাকার পাশাপাশি ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয়। এর পাশাপাশি যানবাহন চলাচল করার ক্ষেত্রেও নানান সমস্যা হয়।
আরও পড়ুন : Flood in Birbhum: রাস্তাঘাট, বাড়িঘর সব জলের তলায়, চিঁড়ে গুড় খেয়ে কাটছে বাসিন্দাদের
এমন সমস্যা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধার করতে ২০১৭ সালে ১৬৫ কোটি টাকার বিনিময়ে অজয় নদের উপর নতুন সেতু তৈরি করার ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর জমিজট সহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে কাজ এখন শেষ হয়েছে। সেতুর ওপর ঢালাই থেকে শুরু করে সেতুর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। আর এমন কাজ শেষ হওয়া দেখে যা আশা করা হচ্ছে তাকে এই বছর দুর্গাপুজোর আগেই হয়তো এই সেতুর উদ্বোধন হয়ে যেতে পারে। যদিও সেতুর উদ্বোধন নিয়ে প্রশাসনিকভাবে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
সেতুটির উদ্বোধন হলে ইলামবাজার হয়ে দুর্গাপুরের মুচিপাড়ার যোগাযোগের ক্ষেত্রে রাস্তা অন্ততপক্ষে ২৫ কিলোমিটার কমে যাবে। কেননা ইলামবাজার হয়ে অজয় নদের উপর এই নতুন সেতু দিয়ে সহজেই দু’নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে মুচিপাড়া পৌঁছানো যাবে। স্বাভাবিকভাবেই এই সেতুটি যোগাযোগ ব্যবস্থায় দুই জেলার ক্ষেত্রেই বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দেবে।