Madhyamik Pariksha: বলতে গেলে হাতে আর একমাসও সময় নেই। ছাত্রজীবনের সবথেকে বড় এবং প্রথম পরীক্ষা হল মাধ্যমিক পরীক্ষা। শেষ মুহূর্তে চলছে তারই প্রস্তুতি। এত বছরের পরিশ্রমে যাতে কোনরকম ঘাটতি না থাকে এখন সকলেই সেইদিকে ব্যস্ত। বইয়ের পাতা উল্টে বারে বারে দেখে নেওয়া হচ্ছে যাতে কোথাও কোনোরকম অসুবিধা না থাকে। শিক্ষাজীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা বলে কথা, তাই কোনরকম ত্রুটি রাখা যাবেনা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এই বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বিশেষ কিছু নিয়ম চালু করেছে চলুন জেনে নিই এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
পরীক্ষাকেন্দ্রে (Madhyamik Pariksha) যাতে সমস্ত কিছু সঠিকভাবে পালন করা হয় সেদিকে কড়া নজরদারি রাখছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শুধুমাত্র নিয়ম-কানুন নয়, প্রশ্নপত্রের ওপরেও কড়া নজরদারি রেখেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাই নিয়ে প্রতিটি স্কুলে দেওয়া হচ্ছে পর্ষদের তরফ থেকে কড়া বার্তা। এত নিরাপত্তা বজায় রাখার আসল কারণ হলো মাধ্যমিক পরীক্ষায় আরও স্বচ্ছতা আনা এবং পরীক্ষা পদ্ধতি আরও নির্ভুল করা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল।
মাধ্যমিকের (Madhyamik Pariksha) খাতা দেখার ক্ষেত্রে লাল কালির ব্যবহারকে প্রাধান্য দিয়ে আসা হয়েছে প্রথম থেকে। খাতার মধ্যেই প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের মোট নম্বর লেখা হয়ে থাকে। তারপর খাতার শেষে এবং উপরে দুই দিকেই উল্লেখ করা হয় ওই বিষয়ে পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত মোট নম্বর। চলতি বছর অবশ্য কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে এই ক্ষেত্রে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় প্রশ্নের উত্তর আগে পরে দেওয়ায় মোট নম্বর নির্ধারণে, কালির নম্বর আবছা হয়ে যাওয়ার মত একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফল প্রকাশের পরে পরীক্ষার্থীর রিভিউ, স্ক্রুটিনি বা RTI-এর ক্ষেত্রে নম্বর কমার থেকে উল্টে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। এই ক্ষেত্রেই পর্ষদ আনল কিছু পরিবর্তন।
আরও পড়ুন: সরকারের নির্দেশে বেতন বাড়ল রাজ্যের শিশু-মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকার, ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর
পর্ষদ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, যে সকল শিক্ষক এবং শিক্ষিকা মাধ্যমিক খাতা দেখার দায়িত্বে থাকবে তাঁদের সকলকে প্রত্যেক খাতাপিছু একটি করে ‘কেজিং শিট’ দেওয়া হবে। অর্থাৎ শিক্ষক বা শিক্ষিকারা কেবল পরীক্ষার খাতায় নয়, আলাদা ‘কেজিং শিট’-এও পরীক্ষার নম্বর তুলবে। শিক্ষকদের যখন খাতা দেখা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে তখন সমস্ত ‘কেজিং শিট’ প্রধান পরীক্ষকের কাছে জমা দিয়ে দিতে হবে। নম্বর নির্ধারণের ক্ষেত্রে এক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হবে না। নতুন এই পদ্ধতি চালুর ফলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আশঙ্কা করছে রিভিউয়ের সময়ে পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষক দু’পক্ষই যেমন উপকৃত হবেন তেমনি আইনত জটিলতা এড়ানো সম্ভব হবে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে এই নতুন নিয়ম চালু করার ফলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রে একাধিক মতামত সামনে এসেছে। অনেকেই প্রশংসা জানিয়েছেন এই নয়া উদ্যোগকে। আবার পাশাপাশি অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা একে বাড়তি চাপ হিসাবে ধরে নিচ্ছে। যোধপুর পার্ক গার্লস হাই স্কুলের সহ প্রধানশিক্ষিকা অজন্তা চৌধুরী এই বিষয়ে জানিয়েছেন, নতুন নিয়ম চালু হওয়ার ফলে স্বচ্ছতা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি পরীক্ষকদের খাটনি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বচ্ছতা বজায় রাখার পাশাপাশি পর্ষদের উচিত অতিরিক্ত খাটনির বিষয়গুলোকে মাথায় রাখা।