Mahakumbh: চলচ্চিত্রে সকলেই দেখে থাকবেন যে কুম্ভমেলাকে বিচ্ছেদের গল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হয়, আবার আশ্চর্যজনকভাবে এই মেলায় যারা হারিয়ে যায় তাদের বহু বছর বাদে আবার খুঁজে পাওয়া যায়। প্রিয়জনদের এই মেলায় পুনরায় দেখা পাওয়া যায়।আজকের প্রতিবেদনে এমনই এক ঘটনার সম্পর্কে জানা যাবে। ভুলি’র শ্যাম নগরের বাসিন্দা মুরলি যাদবের সাথে যে ঘটনা ঘটেছে কোনো সিনেমার থেকে কম নয়।২৭ বছর আগে বাড়ি ছেড়ে যাওয়া তার বড় ভাই গঙ্গাসাগর যাদবকে আবার পাওয়া গেছে কুম্ভ মেলায়। স্বামীকে খুঁজে পাওয়ার সংবাদ পেয়ে গঙ্গাসাগর যাদবের স্ত্রী ধনওয়া দেবী পুরো পরিবার নিয়ে কুম্ভমেলায় চলে আসেন।
২৭ বছর আগে বাড়ি ছেড়েছিলেন স্বামী গঙ্গাসাগর যাদব, সেইদিন থেকে এখনো পর্যন্ত পুরো পরিবার তাকে খুঁজে চলেছে। পুরো পরিবার গঙ্গাসাগর যাদবকে বাড়ি ফিরিয়ে নিতে চান। যদিও বর্তমানে তিনি বাবা রাজকুমার অঘোরী নামে সাধু হয়েছেন,তবুও সকলে তাকে বাড়ি ফেরার অনুরোধ করছে। কিন্তু বাবা রাজকুমার অঘোরী তার পরিবারকে চিনতে পারছেন না। মুরলি যাদব কুম্ভমেলা (Mahakumbh) পুলিশের কাছেও দাদাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্যের আবেদন করেছেন।
কিভাবে নিজের স্বামীকে চিনে নিলেন ধনওয়া দেবী? তার স্বামীর বাঁ হাত একসময় ভেঙে গিয়েছিল, এবং তার কনুই ডিসলোকেট হয়েছে। তিনি এই বিষয়ে আরো বলেন যে, নিজের স্বামীকে সবথেকে ভালো তার স্ত্রী চিনতে পারবে। তিনি আরও জানান, তার স্বামীর কপালে ছিল গভীর ক্ষত এবং সেই কাটার দাগ এখনো আছে। সামনের দুটি দাঁত বড়। মহাকুম্ভে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে নিজের স্বামী হিসাবে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: অর্থের বিলাসিতা ছেড়ে মহাকুম্ভে সুন্দরী বিমান সেবিকা, কারণ কি? ভাইরাল হওয়া নাকি আধ্যাত্মিক টান
দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে সিঁদুর পরছেন তিনি, স্বামীকেও এই বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন বহু বছর আগে তার স্বামী একটি নারী সাধুর কারণে বাড়ি ছেড়েছিলেন। তবে এখন তার স্বামী এবং সেই নারী সাধু পরিবারের কোনরকম কথাবার্তা শুনতে চাচ্ছেন না। তার স্বামী বাড়ি ছেড়ে চলে যান ছোট ভাইয়ের বিয়ের সময়। ২০ বছর আগে পাটনায় তার একটি দুর্ঘটনা হয়েছিল, তখন বাড়ির লোকেরা ধরে নিয়েছিল তিনি আর বেঁচে নেই। কিন্তু মৃতদের তালিকায় নাম ছিল না। ২৭ বছর ধরে তার পরিবার একাধিক ধর্মীয় স্থানগুলোতে খুঁজে বেড়িয়েছে। হঠাৎ দেখা মিলেছে কুম্ভে (Mahakumbh)।
গঙ্গাসাগর যাদবকে এতবছর বাদে দেখে তার ছেলে, কমলেশ যাদব বাড়ি যাবার জন্য অনুরোধ করে। বাবা যখন বাড়ি ছাড়ে তার বয়স মাত্র দুই বছর ছিল। পরিবার কুম্ভমেলা (Mahakumbh) পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে, পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। মুরলি যাদব আশা প্রকাশ করেছেন, বড় ভাই নিশ্চয়ই পরিবারের কথা শুনবেন এবং বাড়ি ফিরবেন। পরিবারের কয়েকজন সদস্য এখনো চেষ্টা চালাচ্ছেন বাবা রাজকুমার অঘোরীকে বোঝানোর।