New Income Tax Bill: দেশের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ১লা ফেব্রুয়ারি পেশ করেছেন ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট। নতুন এই বাজেটে রয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য প্রচুর নতুন চমক। বিভিন্ন পণ্যের দাম যেমন কমেছে তেমনি পাশাপাশি বেড়েছে কিছু কিছু পণ্যের দাম। নয়া এই বাজেট কতটা লাভজনক হবে সাধারণ মধ্যবিত্তের জন্য? তবে নতুন এই বাজেটেই ঘোষণা করা হয়েছে যে আগামী সপ্তাহেই সংসদে একটি নতুন আয়কর বিল পেশ করা হবে। নতুন এই বিলটি ১৯৬১ সালের আয়কর আইনকে প্রতিস্থাপিত করবে। আয়কর প্রক্রিয়াকে আরো বেশি সহজতর করা যাবে এর মাধ্যমে। প্রায় ৬ দশক পরে এই আয়কর আইনে বদল আসতে চলেছে। নিশ্চয়ই জানতে চাইছেন কি কি পরিবর্তন আসবে এই নতুন আয়কর আইনে?
কি কি বদল আসতে পারে এই নতুন আইনে চলুন চটজলদি দেখে নিই এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছেন যে আগামী সপ্তাহে নতুন আয়কর (New Income Tax Bill) ঘোষণা করা হবে। কি কি বদল আসবে নতুন আইনে?
- সরল ভাষা ও কম ধারা: নতুন আইনের ফলে করদাতাদের (New Income Tax Bill) কর দিতে এবং আয়করের নিয়ম-কানুন বুঝতে আগের থেকে অনেক বেশি সুবিধা হতে চলেছে।
- ডিজিটাল প্রক্রিয়ার অবতারণা: এবার থেকে ট্যাক্স জমা দেবেন সম্পূর্ণ ডিজিটাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
- আইনি জটিলতা কমানো: নয়া আইকর আইন আনার প্রধান উদ্দেশ্য আইনি জটিলতা থেকে মুক্তি।
- একক কর বর্ষ: অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার এবং ফিনান্সিয়াল ইয়ার জুড়ে একটাই কর বর্ষ করা হবে।
- কর ছাড়ের ক্ষেত্র কমানো: আয়করের গঠন আগের থেকে সহজ ও সরল হতে চলেছে।
- ডিভিডেন্ড থেকে আয়ে ১৫ শতাংশ কর: নতুন আয়কর আইনে (New Income Tax Bill) উল্লেখ করা থাকবে যে, সমস্ত ধরনের আয়ের মানুষের উপর সমান কর আরোপ করা হবে।
- ৩৫ শতাংশ স্ট্যান্ডার্ড ট্যাক্স: উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য ৩৫ শতাংশ কর আরোপ করা হবে বর্তমান সারচার্জ তুলে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চলতি বর্ষের বাজেটে মালামাল হবে মালদ্বীপ, অর্থসাহায্য বাংলাদেশও
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার যে নতুন নিয়ম (New Income Tax Bill) চালু করতে চলেছে তাতে পরিবর্তন হবে ৬৩ বছর আগে তৈরি হওয়া ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল করদাতাদের থেকে মতামত নিয়ে এই বদল করা হবে। ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের অধীনেই ২০২০ সালে নতুন ট্যাক্স রিজিম চালু করা হয়েছিল।
নিশ্চয়ই জানতে চাইছেন কোন কোন জিনিসের দাম কমেছে ঘোষিত হওয়া বাজেটে?
- শুল্কমুক্ত রাখা হচ্ছে ৩৬টি ক্যান্সার এবং বিরল রোগের ওষুধকে। জীবনদায়ী ওষুধকে করমুক্ত রাখায় রোগী এবং তাঁদের পরিবারের ভার লাঘব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
- বিদ্যুৎচালিত গাড়ির ব্যাটারি তৈরির জন্য ৩৫টি প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং মোবাইল ফোনের ব্যাটারি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ২৮টি পণ্যকেও করমুক্ত রাখা হয়েছে।