Rachana Banerjee: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে চলছে মহাকুম্ভ, ১৪৪ বছর পর এই বিশেষ মুহূর্ত এসেছে। আবারো ১৪৪ বছর পর আসবে এই শুভ সময়। তাই মানুষের ঢল দেখা যাচ্ছে পুণ্য লাভের আশায়। প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ উপস্থিত হচ্ছে এই ত্রিবেণী সঙ্গমে। এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নয় কোন মানুষ। শুধু দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নয় বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এসে উপস্থিত হচ্ছে এই প্রয়াগরাজে। যেখানে সাধারণ মানুষ এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাচ্ছে না সেখানে তৃণমূলের সাংসদ কিভাবে হাতছাড়া করে এই সুযোগ?
যদিও তিনি (Rachana Banerjee) দিল্লি গেছিলেন বাজেট অধিবেশনের জন্য, সেখান থেকে সুযোগ পেয়ে সোজা চলে গেছেন প্রয়াগরাজ। পুণ্য লাভের এই সুযোগ হাতছাড়া করা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তাই তিনিও সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রয়াগরাজে সেরে ফেলেছেন কুম্ভস্নান। এতক্ষন আলোচনা করা হচ্ছে তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেনেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। তিনি একজন দক্ষ অভিনেত্রী এবং টেলিভিশন জগতেও তার জনপ্রিয়তা একেবারে তুঙ্গে।
সম্প্রতি প্রয়াগরাজ থেকে তিনি বিভিন্ন ছবি শেয়ার করেছেন সমাজ মাধ্যমে। গঙ্গায় ডুব দিয়ে স্নান করেছেন তিনি। তার পরনে অবশ্য ছিল গেরুয়া পোশাক এবং কপালে গেরুয়া তিলক। কখনো গঙ্গায় ডুব দিয়ে আনন্দ উপভোগ করছেন আবার কখনো জল নিয়ে খেলা করতে দেখা গেল রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rachana Banerjee)। এমনকি ভক্তি ভরে গঙ্গাকে নমস্কার করছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে পুণ্য স্নান করলেন নিজের মৃত্যুর গুজব রটানো পুনম পান্ডে
প্রয়াগরাজে ১৪৪ বছর পর আয়োজন করা হয়েছে এই মহাকুম্ভের। যেখানে পুণ্য লাভের আশায় প্রতিদিন কত মানুষ এসে উপস্থিত হচ্ছে তার হিসাব নেই। মানুষের বিশ্বাস এই কুম্ভে স্নান করলে অমৃত লাভের সৌভাগ্য হয়। তাই সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নামিদামি তারকারাও পর্যন্ত এই সুযোগকে হাতছাড়া করছে না। তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee) গঙ্গাকে নতুন শাড়ি এবং লাল চুনরি অর্পণ করেছেন।
রচনা সোশ্যাল মিডিয়াতে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে, কুম্ভস্নানের মাধ্যমে তিনি যেন এক অদ্ভুত আধ্যাত্মিকতা অনুভব করতে পেরেছেন। যে অভিজ্ঞতা তিনি লাভ করেছেন তা সত্যিই ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। জীবনে এমন অভিজ্ঞতা আর কোনদিনও লাভ করা সম্ভব নয়। তবে কুম্ভ স্নানে তিনি একা যাননি, সঙ্গে ছিলেন তার বন্ধুবান্ধবরা। বসন্ত পঞ্চমীর পুণ্য তিথিতে তিনি গঙ্গা স্নান করেছেন। এখানে এসে তিনি বাবার নামে তর্পণ করেছেন। সাংসদ সোশ্যাল মিডিয়াতে জানিয়েছে যে, এখানে আসার যে স্বপ্ন তার ছিল তা পূরণ হয়েছে।