নিজস্ব প্রতিবেদন: বিপদ কাউকে কখনো বলে আসে না। তাই সব সময় আগাম সতর্ক হওয়া অত্যন্ত জরুরি। বাড়িকে সুরক্ষিত করার জন্য মজবুত দরজা-জানলা, লোহার গ্রিল লাগানো হয়, চুরি ডাকাতি এড়াতে দরজায় শক্তপোক্ত তালা, বাড়ির একাধিক জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কথা ভাবেন বেশিরভাগ মানুষ। ঠিক সেরকমই রান্নার গ্যাস ব্যবহারের ক্ষেত্রেও আগাম সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যাতে বিপদ এড়ানো যায়। গ্যাস সিলিন্ডার থেকেও যে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে, সে কথা আমরা প্রায় সকলেই জানি।
গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনা এড়াতে কয়েকটা জরুরি বিষয় আমাদের সবসময় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন, গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপের বিষয়ে, গ্যাসের নব ঠিক মতো বন্ধ করা হয়েছে কিনা ইত্যাদি নানান। চলুন দেখে নেওয়া যাক গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণ বা কোনও রকম দুর্ঘটনা এড়াতে আগাম কি কি সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন।
বিস্ফোরণ বা দুর্ঘটনা এড়ানোর আগাম সতর্কতা :
★ রান্নাঘর থেকে বেরোনোর আগে গ্যাস বন্ধ করে দেখে নিন গ্যাসের পাইপটি যেন কোনও ভাবেই গ্যাস ওভেনের গরম বার্নারের গায়ে ঠিকে না থাকে।
★ গ্যাস জ্বালানোর পর লাইটার বা দেশলাই অনেকেই সিলিন্ডারের উপরেই রেখে দেন। মনে রাখবেন, সিলিন্ডার গরম হতে পারে এমন কোনও কাজ করবেন না। কখনোই একে অপরের সঙ্গে ঠিকিয়ে রাখবেন না গ্যাস ওভেন, সিলিন্ডার বা গ্যাসের পাইপকে। বিপদ এড়াতে সব সময় এগুলিকে নিরাপদ দূরত্বে রাখুন।
★ পাইপ পরিষ্কার রাখার জন্য বহু মানুষকে দেখা যায় গ্যাসের পাইপের গায়ে কাপড় বা প্লাস্টিক দিয়ে মুড়ে রাখেন। কিন্তু এমনটা কখনওই করবেন না। কারণ, এরকম ভাবে মোড়া থাকলে পাইপ থেকে যদি গ্যাস লিক হয়, তাহলে তা ধরা পড়বে না।
★ গ্যাসের একই পাইপ বছরের পর বছর ব্যবহার করবেন না। নিরাপত্তার খাতিরে প্রতি ২ থেকে ৩ বছর অন্তর অন্তর গ্যাসের পাইপ বদলে ফেলুন।
★ পাইপ পরিষ্কার করার সময় বহু মানুষকে দেখা যায় সাবান ব্যবহার করতে। কিন্তু এমনটা কখনওই করবেন না। এর ফলে মারাত্মক বিপদ ঘটে যেতে পারে। গ্যাসের পাইপ পরিষ্কার করার জন্য শুধুমাত্র শুকনো কাপড় ব্যবহার করুন। পাইপ খুব বেশি নোংরা হলে মোছার জন্য কাপড়টি হালকা করে জলে ভিজিয়ে নিন।
★ গ্যাসের পাইপে বা সিলিন্ডারে ‘ISI’ চিহ্ন না থাকলে সেই সিলিন্ডার বা পাইপ অবিলম্বে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে ফেরত দিন।
★ রান্নার কাজ সেরে রান্নাঘর থেকে বেরনোর আগে সিলিন্ডারের মুখ সেফটি ক্যাপ বন্ধ করে দিন।
★ ঘর হোক বা রান্নাঘর, গ্যাসের গন্ধ পেলে তৎক্ষণাৎ বাইরে বেরিয়ে আসুন। কোনভাবেই সুইচ বোর্ড বা বৈদ্যুতিন কিছু চালু করবেন না।
★ খবুই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, রান্নার গ্যাস বাতাসের থেকে ভারি। ফলে গ্যাস লিক হলে সেই উপরে না উঠে মেঝের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করে। তাই প্রাথমিক ভাবে কাপড়, তোয়ালে বা হাতপাখার সাহায্যে হাওয়া দিয়ে গ্যাস বাইরে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। পাশাপাশি দেরি না করে খবর দিন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার হেল্প লাইন নম্বরে, খবর দিন অন্যান্য সরকারি সাহায্য প্রদানকারী সংস্থাকে।