নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতবর্ষ নাকি গরীব দেশ! অনেক মানুষ নাকি এই দেশে না খেতে পেয়ে মারা যান! আরে ধুর মশাই। কি যে বলেন? এই দেশ যদি এত পোড়া হবে তবে এই দেশের কোনো কোম্পানির আয় ১০ লক্ষ কোটি টাকা হয় কী করে!
আপনারা হয়তো বুঝতেই পারছেন কোন কোম্পানির কথা বলা হচ্ছে, ঠিকই বুঝেছেন। কথা হচ্ছে রিলায়েন্স কোম্পানির। মুকেশ আম্বানির এই কোম্পানির আয় ১০ লক্ষ কোটি টাকা।
তবে এর মুখ্য কারন রিলায়েন্স কোম্পানি খুব সাম্প্রতিক দুটি নতুন বিষয় ব্যবসা শুরু করেছে। প্রথম বিষয়টি আপনাদের সকলেরই জানা সেটি হলো জিও, যেটি একটি টেলিকম কোম্পানি ও দ্বিতীয়টি রিলায়েন্স রিটেইল কোম্পানি। রিলায়েন্স রিটেইল কোম্পানির কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় এটি বর্তমানে ভারতের সর্ববৃহৎ রিটেইল কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে, যার অন্যতম কারণ ছোট বড় সব শহরেই মানুষ এই কোম্পানিকে আপন করেছে, তার সাথেই তিন চার রকমের বাজারের প্রতি একসাথে এটি নজর রেখেছে। বর্তমানে রিলায়েন্স রিটেইলে লাভের পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি, যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি এবং যে ভাবে এর আয় বেড়ে চলেছে সেই লেখচিত্রটাও স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক।
এবার আসা যাক রিলাইন্সের টেলিকম ব্যবসা অর্থাৎ জিওর কথায়। ইতিমধ্যেই ভারতের সবথেকে বহুল ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক জিও, যেটি কিনা ইতিমধ্যেই ৩ হাজার মিলিয়নের লক্ষ্য পূরণ করে ফেলেছে। এবার তার লক্ষ্য পাঁচ হাজার মিলিয়ন গ্রাহকের উদ্দেশ্যে।
রিলায়েন্সের যে ১০ লাখ কোটির ব্যবসা তার মধ্যে ৩ লাখ কোটির আমদানীই হয় এই টেলিকম কোম্পানি অর্থাৎ জিও থেকে ও এই ব্যবসা বাড়াতে রিলায়েন্স রিটেইলের ভাগ ১.৫ থেকে ১.৭ লক্ষ কোটি।
এতক্ষণ ধরে লাখ কোটির অঙ্ক শুনতে শুনতে নিশ্চই আপনাদের ধারণা যে মুকেশ আম্বানির আয় লক্ষ কোটির ঘরেই হবে। আচ্ছা তাহলে এবার আসা যাক মুকেশ আম্বানির আয়ের হিসেবে।আপনাদের মনে হওয়া স্বাভাবিক যে রিলায়েন্সের বাজারের এত উন্নতি হওয়ায় মুকেশ আম্বানির আয়েরও বৃদ্ধি ঘটেছে ভালোই। কিন্তু প্রায় এক যুগ থেকেই রিলায়েন্স কোম্পানির দ্বারা মুকেশ আম্বানির আয় বার্ষিক ১৫ কোটিতেই আছে। বর্তমানে কোম্পানির এরকম অবস্থায় মুকেশ আম্বানির আয় বাড়া স্বাভাবিক হলেও ১৫ কোটিতে স্থির মুকেশ আম্বানির আয়।