হিমাদ্রি মণ্ডল : দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এই লকডাউন কোন রাজনৈতিক হিংসা, মারামারি বা সাম্প্রদায়িক কাটাছেঁড়া নিয়ে নয়। এই লকডাউন নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে, দেশ বাঁচাতে। বিশ্বব্যাপী দাপিয়ে বেড়ানো করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতেই এই লকডাউন। কিন্তু তাতে কি? বেশ কিছু উৎসাহী, অতি উৎসাহী মানুষ নানান অজুহাতে বেরিয়ে পড়ছেন রাস্তায় রাস্তায়। আর রাতের বেলা পাড়ার অলিতে গলিতে পুলিশ নেই দেখে একটু ঘুরে আসা। তবে এবার সাবধান। পুলিশও পাড়ার অলিতে গলিতে রাতের অন্ধকারে ভিড় কমাতে বাইক নিয়ে নেমে পড়েছেন ময়দানে। গাড়ি ছেড়ে তারা বাইকের টহলদারিতে জোর দিচ্ছেন।
সোমবার রাত থেকেই এমন অভিনব টহলদারি চোখে পড়েছে বীরভূমের সদর শহর সিউড়িতে। শুধু পুলিশ নয়, পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও গাড়ি ছেড়ে বাইকে শাওয়ার হয়েছেন শহরের অলিগলি যেখানে মানুষের ভিড় জমার সম্ভাবনা থাকে। মানুষের ভিড় কমাতে পুলিশের এই বাইক টহলদারিতে চোখে পড়েছে জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পালকে, চোখে পড়েছে ডিএসপি ডিএনটি অভিষেক মন্ডলকে, আরও অন্যান্যদের।
মোটের উপর আপনি যদি ভেবে থাকেন এই লকডাউন চলাকালীন চা খাওয়া বা অন্য কোনো অজুহাতে বাড়ি থেকে বের হবেন তাহলে একটু হলেও সাবধান হয়ে যান। কারণ যেকোনো মুহূর্তে আপনার সামনে এসে হাজির হতে পারেন এই সকল আধিকারিকরা। আর প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও সমাজের অন্যান্য বিশিষ্টজনদের কথা একটুও অন্তত মেনে চলুন। মাত্র কয়েকটা দিন নিজেদের গৃহবন্দী করে রাখুন, যাতে দেশ ও দশের উপকার হয়।