অমরনাথ দত্ত : দেশজুড়ে ২১ দিনের জন্য জারি হয়েছে লকডাউন। এই লকডাউন অন্য কোন কারণে নয়, লকডাউন নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচানোর জন্য, নিজেদের বাঁচার জন্য, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য। অনেকেই এই লকডাউনের তাৎপর্য বুঝে নিজেদের গৃহবন্দী করেছেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। আবার অনেকেই এই ‘জরুরি’ বিষয়টিকে অজুহাত হিসাবে কাজে লাগিয়ে হাতে থলি, পকেটে প্রেসক্রিপশন (বহু পুরাতন), ব্যাঙ্কের পাসবুক ইত্যাদি নিয়ে বাইরে বেরিয়ে পড়ছেন একঘেয়ামিপনা কাটাতে। কিন্তু এই যে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন এতে কার ক্ষতি?
লকডাউনকে সফল করতে রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে বারংবার নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে। কখনো লাঠি হাতে, কখনো আবার মানুষকে সচেতন করতে গান গাইতে, কখনো আবার ছবি আঁকতে। কিন্তু তাতেও যখন সাধারণ মানুষের হুঁশ ফিরছে না তখন দেখা গিয়েছে আটক করতে। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি এই পদক্ষেপগুলি নিতে দেখা গেছে বীরভূম পুলিশকেও। ঠিক তেমনই এবার বীরভূম পুলিশ লকডাউনের নিয়ম ভেঙ্গে রাস্তায় বের হওয়া মানুষদের লজ্জায় ফেলতে নয়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল।
বুধবার শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ পৌঁছায় বোলপুরের শ্রীনিকেতন মোড়ে। আর সেখানে পুলিশ একে একে আটক করতে থাকে লকডাউনের নিয়ম ভেঙ্গে অযথা রাস্তায় বের হওয়া পথচলতি মানুষদের। তাদের থেকে জানতে চাওয়া হয় কেন তারা রাস্তায় বের হয়েছেন?প্রতিদিনের মতো রাস্তায় বের হওয়া মানুষগুলো তাদের তৈরি থাকা অজুহাত জানান পুলিশকে।
আবার যারা সত্যিই প্রয়োজনে বের হয়েছিলেন তারাও তাদের কথা বলেন। আর পুলিশ সবকিছু শোনার পরে তাদের একটি করে ‘লেবেঞ্চুস’ (চকলেট) হাতে ধরিয়ে দেয়। আর এরপরে এই মানুষগুলোকে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, পরবর্তীকালে বাইরে বের হওয়ার আগে একবার ভেবে দেখবেন।