ভারতে ১৮ রাজ্যে ১৩৩টি করোনা হটস্পটের কথা জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন

Madhab Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় করোনা মোকাবিলায় ভারতের অবস্থান অনেকটাই ভালো বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, ইউরোপ, আমেরিকা থেকে অনেকটাই স্থিতিশীল। পাশাপাশি এই করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য খামতি রাখেনি ভারত সরকার। তাই করোনা নিয়ে দেশের বাসিন্দাদের অযথা ভীতসন্ত্রস্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই।

Advertisements

Advertisements

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বেনেট বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত অনলাইন একটি আলোচনা চক্রে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানান, নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতের ১৩৩ জেলাকে হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ১৩৩ টি জেলা রয়েছে দেশের ১৮ টি রাজ্যে। এই ১৩৩ টি হটস্পট সংক্রমণ ছড়ানোর ভরকেন্দ্র। তবে এর আগে দেশের ৬২ জায়গাকে হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। আর এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নতুন ঘোষণায় দেশে হটস্পটের সংখ্যা বাড়লো আরও ৭১ টি।

Advertisements

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন আরও জানান, যে সকল জায়গাগুলিকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেসব জায়গায় লকডাউনের এক্ষেত্রে ব্যাপক কড়াকড়ি ও নজরদারির বন্দোবস্ত করেছে কেন্দ্র সরকার। ওই সকল জায়গায় সাধারণ মানুষের বাড়ি থেকে বের হওয়া নিয়ে অনেক বেশি কড়া অবস্থান নিচ্ছে প্রশাসন। তবে এই হটস্পটের সংখ্যা আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে, কারণ হটস্পটের তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে ঐসকল জায়গাগুলি, যেখানে ১৫ জনের বেশি সংক্রামিত। ইতিমধ্যেই এরকম আরও ৪৩ টি জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

করোনা, লক ডাউন ইত্যাদি প্রসঙ্গে এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানান, “যেহেতু করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এখনো পর্যন্ত কোনো রকম ওষুধ অথবা প্রতিষেধক বের হয়নি তাই লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বই হচ্ছে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার মোক্ষম সামাজিক টিকা।”

এছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এদিন আশ্বাস দেন, “এমন নয় যে সারাদেশে করোনা ছেয়ে গেছে। বরং দেশে এখনো পর্যন্ত করোনা সংক্রামিতদের মধ্যে ওই ১৩৩ জেলার ৭৫ জেলায় রয়েছে ৮০% সংক্রামিত ব্যক্তি। ১০ টি জেলায় রয়েছে ১০ শতাংশ। আর এই লড়াই সঠিকভাবে চালানোর জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীগোষ্ঠী সব সময় প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে যোগাযোগ রেখে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশে দু’লক্ষেরও বেশি আইসোলেশন বেড, ভেন্টিলেটর, আইসিইউ বেড, পিপিই, মাস্ক সবই রয়েছে। আরও ৪৮০০০ ভেন্টিলেটরের অর্ডার দেওয়া হয়েছে।”

Advertisements