করোনার কবলে মা, কাজের ফাঁকেই ৩ মাসের একরত্তিকে সামলাচ্ছেন দুই নার্স

Madhab Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ১২৩৮০ জন করোনা সংক্রামিত হয়েছেন ভারতে। মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েছেন ৪১৪ জন। ভারতে করোনা সংক্রামিতদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই পরিস্থিতি যখন আরও জটিল হয়ে ওঠে তখন দেখি একজন মা করোনা পজিটিভ হয়েছেন বলেই তার দুধের শিশুকে তার থেকে আলাদা করা হয়েছে। এই দৃশ্য সত্য যন্ত্রণাদায়ক। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেই অবতারের ভূমিকায় দুজন নার্স। করোনা পজিটিভ রোগীর সন্তানের দায়িত্ব নিতে এগিয়ে এলেন তারা।

Advertisements

Advertisements

এই ঘটনাটা ঘটেছে ছড়িশগড়ের রায়পুরে। এই রায়পুরের AIIMS হাসপাতালে কয়েকদিন আগেই একজন মহিলার করোনা পজিটিভ কেস ধরা পড়ে। ঐ মহিলার দুই মেয়ে। তবে এই দুই মেয়েরই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে‌।করোনা পজিটিভ কেস ধরা পড়ার সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তার সাথে কারোরই দেখা করার অনুমতি নেই। তার পরিবারের লোকও তার কাছে যেতে পারছে না। এই মহিলার দুই মেয়ের মধ্যে এক মেয়ে একেবারে দুধের শিশু।সেই মেয়ের বয়স মোটে তিন মাস। এত ছোটো শিশুকে মা ছাড়া কীভাবে রাখা সম্ভব? তখনই এগিয়ে আসেন দুজন নার্স। নারী মাত্রই যে মা। আর মাতৃত্ববোধ যার থাকে তার কাছে সকল শিশুই সন্তানসম।

Advertisements

কথায় বলে চিকিৎসকরা ঈশ্বরের অবতার। করোনার সময় সে প্রমাণ প্রতি মুহূর্তে পাচ্ছে দেশবাসী। লকডাউনে যখন গোটা দেশ গৃহবন্দি, তখন এই চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরাই নিজেদের প্রাণের পরোয়া না করে রোগীদের জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার ব্রত নিয়েছেন। বহু মানুষকে সুস্থ করে তুলেছেন। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছেন রোগীদের। এবার রোগীর সন্তানের দেখভালেরও দায়িত্ব নিলেন দুই নার্স।

এরপর আদরে ভালোবাসায় সেই শিশু ভরে ওঠে। দুই নার্সের সাথে ওই শিশুর একটি ভিডিও শেয়ার হয় সোশ্যাল সাইটে। মুহূর্তের মধ্যেই যা হয়ে যায় ভাইরাল। এই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, পিপিই পরে দুইজন নার্স দুধের শিশুর দেখভাল করছেন, তাকে দুধ খাওয়াচ্ছেন, আদর করছেন। শুধুমাত্র তাদের রোগীর সেবা নয়, তারা রোগীর সন্তানের দায়িত্বও কাঁধে তুলে নিয়েছেন হাসি মুখে।

নেটিজেনদের মন কেড়েছে এই ভিডিওটি।
AIIMS হাসপাতালের ডিরেক্টর ডাঃ নীতিন নাগরকর বলেছেন, “ওই মহিলার দুজন মেয়ে সুস্থ আছে। ওই দুই মেয়ের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিছু দিন আগেই ওদের মা, মামা আর দাদু করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আগামী পাঁচদিনের মধ্যে আবারও তাদের আর একবার পরীক্ষা করা হবে।”

এখনও সময় আছে! সচেতন হোন! এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিন! আর গরীব মানুষ, অসহায় প্রাণীদের প্রতি একটু সহানুভূতিশীল হোন।

Advertisements