এখনই মুক্তি নেই নিম্নচাপের বৃষ্টি থেকে, বার্তা হাওয়া অফিসের

Madhab Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মত বুধবার দুপুরের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটে। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। আর শুক্রবার বৃষ্টির পরিমাণ বৃহস্পতিবারের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চলে জেলাগুলিতে। এখনো পর্যন্ত একনাগাড়ে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি জারি রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। আর এমন আবহাওয়ায় নাজেহাল বঙ্গবাসী নিম্নচাপের এই বৃষ্টি থেকে মুক্তি খুঁজছেন। তবে হাওয়া অফিসের বার্তা এখনই মুক্তি নেই।

হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া একটি নিম্নচাপের কারণে এই বৃষ্টির প্রতিফলন। আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হলেও রবিবার থেকে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ আবার নতুন করে একটি নিম্নচাপ দেখা দিয়েছে বঙ্গোপসাগরে। যে নিম্নচাপটি আগামী রবি অথবা সোমবার তৈরি হয়ে যাবে। আর সেই নিম্নচাপের প্রতিফলন দেখা যাবে দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই।

আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানিয়েছেন, “আগস্ট মাসের ১৭ তারিখ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আর এই বৃষ্টিপাত দেখা দিয়েছে প্রায় প্রতিটি জেলাতে। আজকের পর কিছুটা হলেও আবহাওয়ার উন্নতি হবে। তবে রবিবার থেকে পুনরায় বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে। নতুন করে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ দেখা দিয়েছে সেই নিম্নচাপের প্রভাবে সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হলেও উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।”

আর এই একনাগাড়ে বৃষ্টি নিয়ে সঞ্জীব বাবু আরো জানান, “টানা এই বৃষ্টিপাতের ফলে রাজ্যের নিচু এলাকাগুলিতে জল জমার সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন করে নিম্নচাপ দেখতে পাওয়া গিয়েছে বলে আগামী রবিবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক ধরেই বঙ্গোপসাগরে টানা নিম্নচাপ তৈরি হয় আশঙ্কা বেড়েছে রাজ্যের নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলিতে। এমনিতেই এবছর বৃষ্টির পরিমাণ অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। যে কারণে খাল-বিল-নদী-নালা পরিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আর টানা এই বৃষ্টির কারণে নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলির মানুষেরা বন্যার আশঙ্কায় দিনযাপন করছেন। যদিও প্রশাসনিকভাবে চলতি বছর আগাম বন্যা মোকাবিলায় সমস্ত রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করে রেখেছে বলে খবর প্রশাসন সূত্রে।