হিমাদ্রি মন্ডল : তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় নাম ঘোষণা হওয়ার পর সিউড়ি বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী বিকাশ রায় চৌধুরী রবিবার প্রচারে বেরিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্নের সম্মুখীন হন। প্রশ্ন ওঠে, ‘ভোটের সময় তাদের (বিধায়ক) দেখা পাওয়া যায়, পরে আর কোন পাত্তা পাওয়া যায় না’। অর্থাৎ ‘ভোটের পর পাত্তা পাওয়া যাবে তো?’
বিকাশ রায় চৌধুরী এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হন রবিবার সিউড়ির ৩ নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ কেন্দুয়া রক্ষা কালিতলায়। যেখানে তিনি জনসংযোগ বাড়াতে রবিবার সকালে চায়ের আড্ডায় হাজির হন। এই চায়ের আড্ডায় তৃণমূল প্রার্থী বিকাশ রায় চৌধুরী ছাড়াও হাজির ছিলেন এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর তথা বর্তমান সিউড়ি পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য বিদ্যাসাগর সাউ।
তৃণমূল প্রার্থী বিকাশ রায় চৌধুরীকে হাতের কাছে পেয়ে এলাকার এক চা ব্যবসায়ী নিরঞ্জন লাহা সরাসরি অভিযোগ করেন, “আমরা জানি আপনাকে দরকার। কিন্তু আমরা যখন যাবো তখন আর আপনার পাত্তা পাওয়া যাবে না। তখন আপনি বলবেন বাথরুমে আছেন, নইলে স্নান করছেন। খগেন বাবু সময় থেকে আমি ভোট করে আসছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত কারোর উপকার পাইনি। আমার ছেলে বারোটা জায়গায় পাশ করেও চাকরি হলো না।” এর পাশাপাশি তিনি এটাও অভিযোগ করেন, “স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও সুবিধা পান নি।”
পাশাপাশি নিরঞ্জন বাবু এটাও অভিযোগ করেন, “বহু এমএলএ দেখলাম, কাউকে ভরসা নেই। তবে ভরসা একমাত্র এই বিদ্যা।” অর্থাৎ যা পেয়েছেন তা নিয়ে তাকে অকপট স্বীকারোক্তিও করতে দেখা যায়। বলেন, “একমাত্র উপকার পেয়েছি এই ভাইপোর থেকে।” ভাইপো বলতে তিনি বিদ্যাসাগর সাউয়ের কথা বলেছেন।
আর সরাসরি এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে বিকাশ রায় চৌধুরী ওই চা ব্যবসায়ীকে বোঝান, “আপনি বেকার ভাতা পেয়েছেন তো। মমতা ব্যানার্জিই দিয়েছে তো। কারোর মারফতে পেয়েছেন আর সেটা তৃণমূল সরকারই দিয়েছে।”
[aaroporuntag]
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল প্রার্থী বিকাশ রায় চৌধুরী জানান, “সিউড়িতে এমন পরিষেবা দেবো যাতে ঘন্টায় ঘন্টায় মানুষ আমার দেখা পাই। শুনতে পেলেন তো মমতা ব্যানার্জির প্রতি মানুষের আস্থা রয়েছে। সে মাধ্যম যেই হোক না কেন।”